1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
অপারেশনের নামে নিজেই রোগীদের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়িতে অজ্ঞাত কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক দক্ষ ও যুগোপযোগী করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী খুলনাসহ ৮ বিভাগে কালবৈশাখী ঝড়ের সতর্কতা জারি খুলনায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা ডুমুরিয়ায় উচচ ফলনশীল পাট বীজ উৎপাদন, পাট চাষ ও পাট পচনের আধুনিক প্রদ্ধতির ক্রমোন্নয়নে কর্মশালা তালায় ১১৫ শিক্ষার্থীর মাঝে অর্থ বিতরণ মুন্সীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’র বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আলদির মাঠা খেতে মানুষের ভিড়

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৬০ বার পঠিত
5145
লিটন মাহমুদ, মুন্সীগঞ্জ:


মুন্সীগঞ্জের বিখ্যাত আলদির মাঠা ৩০ বছর ধরে তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। আর এই মাঠা বিক্রি করে দেশব্যাপী খ্যাতি পেয়েছেন কমল ঘোষ। মাঠার স্বাদ নিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন ছুটে আসেন অজস্র মানুষ। প্রতিদিন প্রায় ২০ মণ মাঠা বিক্রি হয়।

জানা গেছে, ভোরের আলো ফোটার আগে থেকেই মানুষ ভিড় করতে শুরু করে। মাঠা বিক্রি হয় ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত। ভোর ৪টা বাজলেই মাঠার পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। আলদি বাজারে ৮-১০ জন ব্যবসায়ী নিয়মিত মাঠা বিক্রি করলেও দেশব্যাপী খ্যাতি পেয়েছে কমল ঘোষের মাঠা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোরের আলো ফোটার আগেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছে মাঠাপিপাসুরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমল ঘোষের মাঠার দোকানে সারি দীর্ঘ হতে থাকে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে অপেক্ষার পর মাঠা সংগ্রহ করে পান করছেন মাঠাপিপাসুরা। পিপাসা মেটানোর পর আবার বোতলভর্তি করে নিয়েও যাচ্ছেন পরিবার পরিজনদের জন্য। স্বাদ এবং খাঁটি দুধের হওয়ায় আলদি মাঠার কদর বেশি। এখানে প্রতি লিটার মাঠা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা এবং প্রতি গ্লাস ২৫ টাকা হিসাবে।
সিরাজগঞ্জ সদর থেকে আসা মো. ইলিয়াস বলেন, আমি ইউটিউবে দেখেছি এখানকার মাঠা খুবই সুস্বাদু। আজ দুই ছেলেকে নিয়ে মাঠা খেতে চলে এসেছি। এটা কেউ না খেলে বুঝবে না কতটা সুস্বাদু।
মাঠা বিক্রেতা বিপ্লব বলেন, প্রতিদিন ফজরের নামাজের সময় থেকে মাঠা বিক্রি শুরু করি। সকাল ৯টা পর্যন্ত বিকিকিনি চলে। প্রতিদিন ৮-৯ মণ মাঠা বিক্রি করতে পারি। শুক্রবার আসলে আরও বেশি বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এখানে মাঠা খেতে আসে।
তুলারাম কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে ১০-১৫ জন একসঙ্গে আসছি।এখানকার মাঠা খুবই ভালো। আমরা এখানে এসে খেয়ে যাই আবার সঙ্গে করে নিয়েও যাই।
নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, মানুষের মুখে দীর্ঘ দিন ধরে নাম শুনেছি। কিন্তু এখন এখানে এসে খেয়ে অন্যরকম একটা তৃপ্তি পেলাম।
আলদি বাজারের মাঠার খ্যাতি ছড়িয়ে দিয়েছেন কমল ঘোষ। তিনি এখানে মাঠা বিক্রি করছেন ৩০ বছর ধরে। খাঁটি দুধে টক দই, বরফ, লবণ আর সামান্য চিনি মিশিয়ে নিজ হাতে তৈরি করেন মাঠা।
মাঠা বিক্রেতা কমল ঘোষ বলেন, এখানে মাঠা খেতে অনেক দূর থেকে লোকজন আসে। খেয়ে হয়তো ভালো লাগে তাই আসে। আমরা এখানে খাঁটি দুধের তৈরি মাঠা বিক্রি করি। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বিক্রি হয়। ৩০ বছর ধরে এখানে মাঠা বিক্রি করছি।
 ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, শ্রীনগরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের লোকজন এখানে মাঠা খেতে আসে। রাত ৩টা থেকে মাল তৈরি শুরু করি। আমার এখানে প্রতিদিন ১০ মণ মাঠা বিক্রি হয় । শুক্রবার আসলে ২০ মণ বিক্রি হয়। তবে গরমের দিনের তুলনায় শীতের দিনে কাস্টমার বেশি আসে। শীতের দিনে ভোর ৪টা থেকে মাঠা বিক্রি শুরু করি। শুক্রবার মাঠা বিক্রি করতে ৭-৮ জন লোকের প্রয়োজন হয়।
ঢাকার ইস্কাটন থেকে মাঠা নিতে আসা রিয়াসাদ বলেন, আমার ফ্যামিলির সবাই এই মাঠা খুব পছন্দ করে। তাই দূর থেকে এখানে মাঠা নিতে আসছি।
মহিদুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ ‌থেকে মাঠা খেতে আসছেন। তিনি বলেন, বেশ কিছু ইউটিউব চ্যানেলে দেখছিলাম যে, এখানকার মাঠা খুব সুস্বাদু। তাছাড়া এখানে ভালো মাখন ও ছানা পাওয়া যায়। এখান থেকে আজ ছানা নিয়ে যাচ্ছি।
গৃহিণী মনিরা আক্তার বলেন ,আমি ঢাকা থেকে এখানে মাঠা খেতে আসছি। আমার দেবর রিয়াদ প্রায় এখানে মাঠা খেতে আসে। ও বলছে এখানকার মাঠা খুব সুস্বাদু। তাই ঢাকা থেকে ভোর ৫টায় রওনা দিয়ে আসছি। খেয়ে মনে হলো মাঠাটা আসলেই অনেক সুস্বাদু।
মাঠা বিক্রেতা হৃদয় বেপারী বলেন, আমাদের এখানে মাঠা খেতে কুমিল্লা, গাজীপুর, রাজশাহী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ থেকে লোকজন আসে। আর মুন্সীগঞ্জের লোকজন তো আসেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর