নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বানিজ্যিক মোকাম কপিলমুনিতে সরকারি জমির বন্দোবস্ত ও জেলা পরিষদের রাস্তার জায়গা দখল করে তা বিক্রির অভিযোগে ইমারত নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
অভিযোগে জানানো হয় যে, কপিলমুনি প্রেসক্লাব ও পাবলিক লাইব্রেরী সংলগ্ন সরকারের খাস খতিয়ানের ৪৩৫ দাগের মধ্য হতে .০২ একর সম্পত্তির বন্দোবস্ত ও তৎসংলগ্ন জেলা পরিষদের ৪২০ দাগের যাতায়াতের ব্যস্ততম রাস্তার জায়গা দখল করে জনৈক মনোরঞ্জন দাস ইতোপূর্বে একটি টালীর ছাউনির ঘর নির্মাণ করেন।
অভিযোগ ওঠে সম্প্রতি মনোরঞ্জন দাস তার বন্দোবস্তকৃত .০২ একর সম্পত্তির পাশাপাশি দখলকৃত রাস্তার জায়গা ২৫ লক্ষ টাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী দু’ ব্যবসায়ী যথাক্রমে হারুন-অর-রশিদ ও অরুপ দত্ত’র নিকট ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তির মাধ্যমে বিক্রি করে দিয়েছেন। এরপর হারুন-অরুপ দিং টালীর ঘরটি ভেঙ্গে সেখানে নতুন করে ইমারত নির্মাণকাজ শুরু করেন।
খবর পেয়ে পাইকগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিষয়টি মাপ-জরিপপূর্বক তদন্ত করতে উপজেলা সার্ভেয়ার কওছার আহমেদকে দায়িত্ব দেন। যার প্রেক্ষিতে গত সোমবার তিনি ঘটনাস্থলে জরিপপূর্বক ৪২০ দাগে জেলা পরিষদের রাস্তার জায়গা নির্ধারণ করেন। একই দিন হারুন-অর-রশিদ ও অরুপদের পক্ষে জরিপকাজে সহযোগিতা করেন, স্থানীয় সার্ভেয়ার রহমত আলী গাজী ও নিছার আলী বিশ্বাস। এতে তাদের দখলে থাকা জেলা পরিষদের মূূূূূূূূূূূূূূূূূূূল্যবান সম্পত্তির অবৈধ দখলমুক্ত হয়েছে। নাছিরপুর মৌজার এসএ ৬৪ খতিয়ানের রাস্তার শ্রেণিভুক্ত জমির দাগ নং-৪২০, জেএল নং-১৬।
এ সময় মনোরঞ্জনের বন্দোবস্ত ও দখলকৃত সম্পত্তির কথিত ক্রেতা হারুন-অর-রশিদ জানান, তিনি এ সম্পত্তি খরিদ করেননি, মনোরঞ্জনের পক্ষে কেবল প্রতিনিধিত্ব করছেন। অপর কথিত ক্রেতা অরুপ দত্ত অবশ্য স্বীকার করেছেন যে, এসম্পত্তি ক্রয়ের জন্য তিনি টাকা লগ্নি করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সার্ভেয়ার কওছার আহমেদ বলেন, তিনি মূলত জেলা পরিষদের রাস্তার ৪২০ ও মনোরঞ্জনের বন্দোবস্তকৃত ৪৩৫ দাগের সীমাণা চিহ্নিত করতে এসেছেন। রাস্তার জায়গা দখলপূর্বক বিক্রি কিংবা বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তি বিক্রির বিষয়গুলি তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন বলেও জানান তিনি।