1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:০৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
কেশবপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান ওসিসহ ৩জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ঘূর্ণিঝড় ‘রিমেল’মোকাবেলায় খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি ৩টি মুজিবকেল্লা আনন্দ গুপ্তার হুইল চেয়ার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা বৃদ্ধের পরিবার! এসএসসিতে সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অভাবনীয় সাফল্য সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী তালার মাদক ব্যবসায়ী আটক পাইকগাছায় খুলনাসহ ৫ বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি পাইকগাছায় গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু ডুমুরিয়ায় গ্রাম পুলিশদের ৩০ দিনের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন কয়রায় নিম্নমানের জমাট বাঁধা মিশ্রণে রাস্তায় কার্পেটিং!

খুলনায় সুন্দরবন দিবস পালিত,রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতির দাবি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২২ বার পঠিত

খুলনা প্রতিনিধি:

আজ পহেলা ফাল্গুন। সুন্দরবন দিবস। ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিগত বছরগুলোর ন্যায় খুলনায় সুন্দরবন দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিনটি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে সুন্দরবন একাডেমি ও খুলনা প্রেসক্লাবের যৌথ আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় বক্তারা বলেন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০১ সাল থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। সুন্দরবন উপকূলীয় খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় বেসরকারিভাবে কয়েকবছর যাবত সুন্দরবন দিবস পালিত হয়ে। সুন্দরবন নানা সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। সুন্দরবনকে টিকিয়ে না রাখতে পারলে পরিবেশের বিপর্যয় নেমে আসবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সুন্দরবনের উপর প্রভাব পড়ছে।

এছাড়া বিষ দিয়ে মাছ শিকারের ফলে রেনু, পোনা পর্যন্ত মারা যাচ্ছে। সুন্দরবনে রাস উৎসব, মাছ, গোলপাতা, মধু সংগ্রহের পাস নিয়ে হরিণ শিকার, বাঘ মারা হচ্ছে। গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছ রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

তারা বলেন, সুন্দরবন আমাদের রক্ষাকবজ। এটি আমাদের মায়ের মতো। প্রাকৃতিক দূর্যোগে সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে আসছে। এ জন্য সুন্দরবনকে টিকিয়ে রাখতে হবে। সুন্দরবন সুরক্ষার জন্য ‘সুন্দরবন দিবস’ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা জরুরী। কিন্তু গত ২১ বছরেও দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পায়নি। অনেক দিবস পালন করা হয়। সভায় দ্রুত সুন্দরবন দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ইউসুপ আলী।

সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদিরের সভাপতিত্বে সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতারা এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. নাজমুস সাদাত।

স্বাগত বক্তৃতা করেন, সুন্দরবন একাডেমির পরিচালক ফারুক আহমেদ। বক্তৃতা করেন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলমগীর কবির, রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ, কাউন্সিল মোহাম্মদ আলী, মফিজুল ইসলাম টুটুল, শামীমা সুলতানা শীলু, শাহ মামুনুর রহমান তুহিন, শহিদুল হাসান, সাবিদ খান প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অসীম আনন্দ দাস।

প্রসঙ্গত, সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এ বনের মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার।

সুন্দরবনে বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরণের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির, বানর ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল।এই বনভূমিতে বিখ্যাত সুন্দরী ও গোলপাতা গাছও পাওয়া যায়।

ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট খ্যাত সুন্দরবনে রয়েছে ৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৭৯ প্রজাতির পাখি, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ৩০ প্রজাতির চিংড়ি মাছ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর
9262