মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের মাইজগাও এলাকায় পদ্মা নদীর শাখা খালে নেট-পাটার বাঁধ দিয়ে মৎস্য আহরণের ফলে নৌযান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার (১২ নভেম্বর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় রোমান নামের এক ব্যক্তি খালের ওপর অবৈধভাবে নেট-পাটা স্থাপন করে বাঁধ তৈরি করে পেশাদার জেলেদের মৎস্য আহরণ ও নৌযান চলাচলের পথে পরিকল্পিত উপায়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
ঘটনায় পেশাদার মৎস্যজীবিদের অনেকেই আকষ্মিক মাছ না ধরতে পেরে অর্থাভাবে অতিকষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন, ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, খালটি দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় সর্বসাধারণ ও পেশাদার মৎস্যজীবিদের জীবিকার অন্যতম অবলম্বন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। তবে আকষ্মিক খালটিতে বাঁধ দিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে মাছ শিকারের ফলে কৃষিপণ্য পরিবহন ও নৌযান চলাচল সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মো. মোতালেব খান নামের একজন অভিযোগ করে বলেন, “এই খালই ছিল আমাদের চলাচলের পথ। এখন বাঁধ দেওয়ায় আমরা নৌকা চালাতে পারছি না। ফলে কৃষি পণ্য পরিবহণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ট্রলার চালক বাবু বলেন, আমরা নিয়মিত এখান দিয়ে চলাচল করি কিন্তু বাঁধ দেওয়ার কারণে যেতে পারছিনা। আমি আসছিলাম যাওয়ার জন্য এখন বাঁধ থাকার কারণে ফিরে যাচ্ছি।
অভিযুক্ত মো. রোমান অভিযোগের বিষটি স্বীকার করে বলেন, “মাছ ধরার জন্য এই বাধ দেয়া হয়েছে, তবে নৌযান চলাচলে কোনো সমস্যা হয়না বলেও দাবি তার।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, আমরা বিষয়টা শুনেছি। একবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম কিন্তু সঠিক স্থান সনাক্ত করতে না পারায় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পুনরায় খালটি পরিদর্শন পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারেও তিনি আশ্বস্ত করেন।