1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:৪৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি জীবন ঝুঁকিতে ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে ফুলেল শুভেচ্ছা ছাত্রদের বলাৎকার করে ফোনে ভিডিও ধারণের পর সংরক্ষণ করতেন শিক্ষক উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দাকোপে চেয়ারম্যান পদে ২ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার শার্শায় উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রেস ব্রিফিং সৈয়দপুরে ভারতে পাচারের জন্য রাখা বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার, গ্রেফতার-১ কেশবপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান ওসিসহ ৩জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ঘূর্ণিঝড় ‘রিমেল’মোকাবেলায় খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি ৩টি মুজিবকেল্লা আনন্দ গুপ্তার হুইল চেয়ার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা বৃদ্ধের পরিবার! এসএসসিতে সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অভাবনীয় সাফল্য

তালায় অর্পিত সম্পত্তির বন্দোবস্ত নিয়ে জাল দলিল প্রস্তুত, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য পাকা ঘর নির্মাণ

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২২
  • ২৩ বার পঠিত

শেখ দীন মাহমুদ::

সাতক্ষীরার তালায় অর্পিত সম্পত্তির জবরদখল বজায় রাখতে জাল দলিল প্রস্তুতপূর্বক সরকারকে আসামী করে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় বাদীর স্বামী অস্বিনী রায় ঐ সম্পত্তির দখল বজায় রাখতে দীর্ঘ দিন যাবৎ একসনা বন্দোবস্ত নিলেও আকষ্মিক তার স্ত্রী সাবিত্রী রায়ের নামে ১৯৭০ সালের একটি তঞ্চকতাপূর্ণ দলিল উপস্থাপন করে সরকারকে বিবাদী করে রেকর্ড সংশোধনে তালা সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেছেন। একই সাথে তার ছেলেরা দখলে রাখা অর্পিত সম্পত্তিতে একাধিক পাকা ইমারত নির্মাণ অব্যাহত রাখতে সরকারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পৃথক রীট পিটিশন দাখিল করেছেন। তবে ঐ রীটে আদালত স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিলেও তা অগ্রাহ্য করে সাবিত্রীর ছেলে তাপস রায় জোরপূর্বক নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে এ ঘটনায় মিডিয়ায় ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি প্রশাসন কিংবা দখলদার তাপস গংদের। মুলত সংবাদ প্রকাশে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তাপস গং।

তাপস রায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের গংগারামপুর গ্রামের মৃত অস্বিনী রায় ও সাবিত্রী রায়ের ছেলে। ১৩৫ নং গংগারামপুর মৌজার এসএ ৩১৩ নং খতিয়ানের ১৬৬ দাগের .৫৪ একর বর্তমানে যা অর্পিত সম্পত্তি। ইতোপূর্বে ঐ সম্পত্তি ৪২৮/তালা ৭৭-৭৮ নং ভিপি ইজারা কেস বুনিয়াদে বর্তমানে অবৈধ দখলদার তাপসের পিতা অস্বিনী রায় গত ২৭/৩/২০১৯ পর্যন্ত একসনা ডিসিআর নিয়েছিলেন। যার নং-১০৯৮৩৪।

এদিকে অস্বিনী রায় তার ডিসিআর নবায়ন না করে উল্টো তার স্ত্রী সাবিত্রী রায় সমুদয় সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে সরকারের বিরুদ্ধে তালা সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেন। যার নং-২৪৭/২০২১।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন যে, ১৯৭০ সালের ৮ এপ্রিল এ সম্পত্তির মূল মালিক সুধাংসু শেখর দাসের নিকট থেকে তালার ইসলামকাটি সাব রেজিস্ট্রি অফিসের পোড়া ভলিউমের অন্তর্ভুক্ত ১৫২১ নং রেজি: কোবলা বুনিয়াদে খরিদ করেন। তবে রেজিস্ট্রির পর সর্বশেষ বিআরএস জরিপে রেকর্ড প্রস্তুত করতে না পারা প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, বাদী পক্ষ গ্রাম্য, অশিক্ষিত এবং বৈষয়িক বিষয়ে অনভিজ্ঞ মহিলা হওয়ায় তিনি সঠিক সময়ে সেটেলমেন্ট ক্যাম্পে উপস্থিত হতে পারেননি।

কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। দলিলের মালিক সাবিত্রী রায় যদি অশিক্ষিত কিংবা অনভিজ্ঞও হন তবে তার স্বামী বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিজ্ঞ ছিলেন। তাই, অর্পিত সম্পত্তির দখল বজায় রাখতে তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ একসনা বন্দোবস্ত (১০৯৮৩৪) নিতে ভূল করেননি। এরপর জমির স্থায়ী মালিক হতে তার স্ত্রী উক্ত তঞ্চকতাপূর্ণ দলিলটি প্রস্তুত করেছেন। মূলত তার কাছে দলিল থাকলে তিনি ঐ সময় রেকর্ড সংশোধন কিংবা দেওয়ানী মামলা না করে কেন ডিসিআর নিলেন? ইত্যাদি নানান প্রশ্ন সচেতন মহলে বার বার ঘুর পাক খাচ্ছে।

সর্বশেষ সাবিত্রী রায়ের বাংলাদেশ সরকারকে বিবাদী করে হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন দাখিল করেন। যার নং ৭৪৫৮/২২। যার প্রেক্ষিতে আদালত উভয় পক্ষকে আগামী ৬ মাসের জন্য স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন। অথচ রীটকারী বাদী পক্ষ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বিবাদমান সম্পত্তির অবৈধ দখলে রেখে সেখানে পাকা ইমারত নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় খলিলনগর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ইউএলএও) মো: মহসিন হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৯ সেপ্টেম্বর বিষয়টি অবগত ও প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য ১১৪ নং স্মারকে তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) কে অবগত করেছেন। যার অনুলিপি তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও প্রেরন করেছেন। যেখানে তিনি উচ্চাদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সরকারি ছুটির দিনে গত ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর পাকা ঘর নির্মাণের কথা উল্লেখ করেছেন বলেও জানান।

এব্যাপারে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় বিষয়টির সমাধান হবে।

সর্বশেষ বিবাদমান অর্পিত সম্পত্তিতে রাতের আঁধারে পাকা ইমারত নির্মাণের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর
9262