জি,এ গফুর, (পাইকগাছা) খুলনা::
খুলনার পাইকগাছায় রেজিষ্ট্রী অফিস থেকে প্রায় ২৩ লাখ টাকা নিয়ে পালানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ প্রধান আসামী মোক্তার হোসেন (৩৩) কে খুলনার মুজগুনী এলাকার রেলওয়ে বস্তি থেকে গফতার করেছে।
এর আগে রোববার রাতে পাইকগাছার গজালিয়া গ্রামের আরাফাত হোস বাদী হয়ে মোক্তার হোসেনসহ ৪ জনকে আসামী করে থানায় প্রতারণার অভিযোগে একটি মমা করেন। ওই রাতেই পুলিশ মোক্তারকে গ্রেফতার করে। সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
মামলার বাদী আরাফাত হোসেন জানান, গত ১৬ মার্চ পৌর সদরের সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ২২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা নিয়ে তিনি জমি রেজিষ্ট্রি করতে আসেন। ঘটনার দিন তার শশুর জমির কাগজপত্র তামিল করতে ব্যস্ত থাকায় তার কাছে ২২ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকার ঐ ব্যাগটি রেখে দেয়। এ সময় তার বন্ধু আটক মোক্তার হোসেন তার কাছ থেকে টাকার ব্যাগটি নিয়ে নিজের কাছে রেখে শ্বশুরকে সাহায্য করতে বলে।
আরাফাত সরল মনে ব্যাগটি মোক্তারের নিকট রেখে শ্বশুরকে সাহায্য করতে থাকেন। এরপর ঘটনাস্থলে এসে দেখেন টাকাসহ বন্ধু মোক্তার উধাও। তাৎক্ষনিক বিয়টি তিনি থানা পুলিশকে জানিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সে অনুযায়ী প্রায় ৬ মাস পর রোববার রাতে মোক্তার মোড়লকে খুলনা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা মাসুদুর রহমান মানিক(৩০) ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শহিদুল্লা কায়সার (৪৫) ও ইমরান হোসেন (৩২) দের যোগসাজশে সে টাকা নিয়ে তাদের কাছে দেয় বলে স্বীকার করে।
ঘটনার পর থেকে মাসুদুর রহমান মানিক, শহিদুল্লাহ কায়সার ও ইমরান হোসেন পলাতক রয়েছে।
পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ২২ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকাসহ পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় ৪ জনের নামে মামলা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মামলায় অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।