নিজস্ব প্রতিনিধি, (পাইকগাছা) খুলনা::
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর কে আর নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪টি পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। নিয়োগ প্রার্থীদের দু’জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এমন অভিযোগ করে লিখিত আবেদন করেছেন। অভিযোগপত্রে তারা পরীক্ষা বন্ধের পাশাপাশি নির্বাহী অফিসারের তত্ত্বাবধায়নে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে দাবী করেছেন।
অভিযোগে জানানো হয়, পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর কে আর নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪ টি পদে গত ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। যার প্রেক্ষিতে ৪টি পদে মোট ২৭ টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। যার মধ্যে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানের দু-ছেলে, নিজ বৌমাসহ নিকট জনরা প্রার্থী থাকায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম দফায় কতৃপক্ষ পরীক্ষা স্থগিত করেন। পরে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি পরিবর্তন করে ইসমাইল গাজীকে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি স্থলাভিষিক্ত করা হয়। সেখানেও সভাপতির নাতিসহ নিকট জনরা প্রার্থী রয়েছেন। তাছাড়া কৌশলের আশ্রয় নিয়ে এবার তারা যাদেরকে নিয়োগ দিবেন তাদেরকেই চুড়ান্ত করা হয়েছে। চুড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন, অফিস সহকারী পদে সাবেক নিয়োগ বোর্ডের সভাপতির ছেলে মোঃ আল আমিন সরদার, নিরাপত্তা কর্মী বর্তমান নিয়োগ বোর্ডের সভাপতির নাতি বাকী বিল্লাহ, আয়া পদে সাবেক সভাপতির পুত্রবধূ শাপলা খাতুন ও নৈশ প্রহরী পদে মাসুদ রানা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পরীক্ষার্থীদের দু’জন মোঃ জাবের আহম্মেদ ও বিল্লাল সরদার এ অভিযোগটি করেছেন।
এ ব্যাপারে নিয়োগবোর্ডের সভাপতির ব্যবহৃত ০১৭৩৫-৫০৫৪৫৫ নং মুঠোফোনে কল দিলে ফেনটি রিসিভ করে জানানো হয়, মোবাইলের মালিক কথা বলতে রাজি নন। এমনকি তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে ফোনের মালিকের ছেলে পরিচয় দিলেও নিজের নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এমনকি কোন প্রশ্ন করা না হলেও তিনি স্কুলের নাম উল্লেখপূর্বক এখন তার সেখানে কোন দায়িত্ব নেই বলেও জানান।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের প্রতিক্রিয়া জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ক দিলেও তার নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।