1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৮:১১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমেল’মোকাবেলায় খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি ৩টি মুজিবকেল্লা আনন্দ গুপ্তার হুইল চেয়ার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা বৃদ্ধের পরিবার! এসএসসিতে সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অভাবনীয় সাফল্য সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী তালার মাদক ব্যবসায়ী আটক পাইকগাছায় খুলনাসহ ৫ বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি পাইকগাছায় গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু ডুমুরিয়ায় গ্রাম পুলিশদের ৩০ দিনের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন কয়রায় নিম্নমানের জমাট বাঁধা মিশ্রণে রাস্তায় কার্পেটিং! ডুমুরিয়ায় অবাধে কৃষি জমির মাটি গিলছে ইট ভাটা

প্রতিবন্ধী কিশোর আমিরুলের চিকিৎসায় সাহায্যের আবেদন

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
  • ৪১ বার পঠিত
amirul-9226

শেখ নাদীর শাহ্::


মো: আমিরুল ইসলাম (২২)। খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর গ্রামের মো: এনায়েত গাজীর ছেলে। যে বয়সে তার আর দশজন সমবয়সীর ন্যায় কলেজ ক্যাম্পাস মাতিয়ে রঙিন স্বপ্নে বিভোর থাকার কথা। সে বয়সে কোন রকম হামাগুড়ি দিয়ে স্বপ্ন দেখে কবে স্বাভাবিক ভাবে অন্যদের মত চলা-ফেরা করতে পারবে। নিয়তির কি নির্মম পরিহাস! ডাক্তারের ভূল চিকিৎসা তাকে এখন প্রতিবন্ধীতায় পরিণত করেছে।

মাত্র ৭/৮ বছর বয়সে মাঠে খেলতে খেলতে পড়ে গিয়ে ডান হাটুতে চোট পায়। এর পর শুরু হয় তার হাঁটু ফোলা রোগ। স্থানীয় ডাক্তার-কবিরাজ দেখিয়ে ফল না পাওয়ায় নেওয়া হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অপারেশন করা হয় হাঁটুতে। ডাক্তাররা বলেন, হাঁটুতে পানি জমেছে। মূলত: আরেশনের পর থেকেই শুরু হয় তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গের শিরা-উপ-শিরার সমস্যা। ক্রমশ সংকুচিত হতে থাকে দু’ হাত-পায়ের শিরা সমূহ। পায়ের হাটু বড় ও নিচের অংশ চিকন হতে থাকে। হাত দুটো চিকনের পাশাপাশি আঙ্গুলগুলো বাঁকা হতে শুরু করে। বর্তমানে চলাফেরা পর্যন্ত বন্ধ হতে চলেছে। ডাক্তাররা বলছেন, দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করালে সুস্থ্য হতে পারে সে। তবে তার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা নেই তাদের। ইতোমধ্যে দেশে চিকিৎসা করিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে পাগলপ্রায় অবস্থা তাদের।

আমিরুলের পিতা এনায়েত একজন শ্রমজীবি। তার দু’ভাই ইট-ভাটা শ্রমিক। আর মা’ গৃহিনী। বড় দু’ভাই আলাদা সংসার পাতলেও ছোট ভাইয়ের চিকিৎসায় কার্পণ্য নেই তাদের। তবে সকলেই এখন সর্বশান্ত। ইতোমধ্যে একভাই ভাটা শ্রমিক শাহিনুর রহমান কষ্টার্জিত টাকায় ছোট ভাইকে ভারতে উন্নত চিকিৎসা করাতে পার্সপোর্ট-ভিসা করেছেন। তবে এখনো জোগাড় হয়নি যাতায়াতসহ চিকিৎসা খরচের টাকা। সেকারণে তারা এখন সকলের সাহায্য প্রার্থী।

ড. ভূপেন হাজারিকার কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে হয়- মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারেনা! ও –বন্ধু মানুষ মানুষের জন্য। অথবা, বেবি নাজনীনের কন্ঠের একটি টাকা দাওনা ও ভাই একটি টাকা দাওনা—। এক শ’ টাকা, পাঁচ শ টাকা হাজার টাকা চাইনা।

সমাজের এমন কেউ কি আছেন ফুঁটফুটে আমিরুলের সুস্থ্য জীবনে ফিরে আসতে চিকিৎসার জন্য ন্যূনতম সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।

আমিরুলের পিতা এনায়েত আলী গাজী বলেন, ওর বয়স যখন ৭/৮ বছর তখন মেঝ ভাই শাহিনুরের সাথে মাঠে গিয়ে পড়ে হাটুতে ব্যথা পেয়েছিল সে। এরপর হাটুতে ব্যথাসহ ক্রমান্বয়ে শারিরীক নানা সমস্যায় ভূগতে থাকে সে। স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ডাক্তার-কবিরাজ দেখিয়ে ব্যর্থ হয়ে তাকে নিয়ে যান তৎকালিণ খুলনাস্থ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের কাছে। তিনি দেখে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বলেন, তার হাঁটুতে অপারেশন করতে হবে। তিনি লক্ষাধিক টাকা নিয়ে তার হাটুর ভেতর থেকে লালা বের করেন। এর পর থেকে সুস্থ্যতা তো দূরে থাক, দু’হাটুর পাশাপাশি দু’ হাত সরু ও বেঁকে যেতে শুরু করেছে। ভূল চিকিৎসায় আমিরুল এখন শারিরীক প্রতিবন্ধী।

আরিুলের মা জরিনা বেগম জানান, এখন সংসার বড় হয়েছে। বড় দু’ছেলে আলাদা সংসার পাতলেও ছোট ভাইয়ের চিকিৎসায় কার্পণ্য নেই তাদের।

সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে তারা। তবে এখন তাদেরও বেহাল অবস্থা। তার বড় দু’ই ছেলে ভাটা শ্রমিক। স্বামী এনায়েতও শ্রমজীবি। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। সেখানে ছেলেকে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করানোর মত অবস্থা নেই কারোরই। তাই বাধ্য হয়েই সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যেও আবেদন জানাচ্ছেন।

তাকে সাহায্য করা যাবে-
বিকাশ/নগদ নং-০১৯৬৮-০৫৭৬৫৬ নম্বরে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর
9262