1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১২:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
অপারেশনের নামে নিজেই রোগীদের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়িতে অজ্ঞাত কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক দক্ষ ও যুগোপযোগী করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী খুলনাসহ ৮ বিভাগে কালবৈশাখী ঝড়ের সতর্কতা জারি খুলনায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা ডুমুরিয়ায় উচচ ফলনশীল পাট বীজ উৎপাদন, পাট চাষ ও পাট পচনের আধুনিক প্রদ্ধতির ক্রমোন্নয়নে কর্মশালা তালায় ১১৫ শিক্ষার্থীর মাঝে অর্থ বিতরণ মুন্সীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’র বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

যৌতুকলোভী স্বামীর পরকীয়ার বলি ডুমুরিয়ার আছিয়া!

  • প্রকাশিত : সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২
  • ২৫ বার পঠিত

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি:


বিয়ের এক বছর পর গত রবিবার বিকেলে লাশ হয়ে খুলনার ডুমুরিয়ায় পিত্রালয়ে ফিরলেন আছিয়া খাতুন (১৯) নামের এক গৃহবধূ।  ডুমুরিয়ার সাহস ইউনিয়নের গজেন্দ্রপুর গ্রামের হতদরিদ্র কারিমুল গাজীর মেয়ে তিনি। যদিও আছিয়ার শ্বশুরালয়ের দাবি বিষপানে সে আত্মহত্যা করেছে। তবে তার পিতা মাতা ও স্বজনরা এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে বলেন, যৌতুকলোভী স্বামীর পরকীয়ার বলি হয়েছেন আছিয়া।

আছিয়ার বাবা কারিমুল ইসলাম ও মাতা নাজমা বেগম জানান, পারিবারিকভাবে মাত্র ১ বছর আগে তাদের একমাত্র মেয়ে আছিয়া খাতুনের বিয়ে হয় বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালি ইউনিয়নের বারো ভূঁইয়া গ্রামের নাসির শেখের ছেলে ইমারুল শেখের সাথে। মেয়ের সুখের কথা ভেবে হতদরিদ্র পিতা ধার দেনা করে নগদ ২ লাখ টাকা সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র যৌতুক হিসেবে দেন জামাতাকে। কিন্তু বিয়ের ২/৩ মাস যেতে না যেতেই জামাই ইমারুল শেখ একজন জুয়াড়ী ও পরকীয়ায় আসক্ত বিষয়টি দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। এর প্রতিবাদ করলেই বাঁধে বিপত্তি। স্বামী শ্বশুর শ্বাশুড়ীর পক্ষ থেকে আছিয়ার উপর নেমে আসে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। যৌতুক লোভী স্বামী দফায় দফায় যৌতুকের দাবিতে তাকে মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে গত শনিবার বিকেলে স্বামীর চাপে পড়ে আছিয়া মোবাইল ফোনে তার মায়ের কাছে ৩ হাজার টাকা দাবি করে। হতদরিদ্র পিতা দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় এটি হয় তার কাল। নিভে যায় তার জীবন প্রদীপ।

তিনি আরও বলেন, ওই রাতেই তাকে ঘরে আটকে রেখে পরিবারের লোকজন বেপরোয়া মারপিট করলে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এরপর বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয় এবং সে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে ওই রাতেই আছিয়ার পিতা মাতাকে জানানো হয়।

এ ব্যাপারে বারো ভূঁইয়া ওয়ার্ড এলাকার ইউপি সদস্য মোঃ আবু দাউদ বলেন, তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহের জের ধরে আছিয়া দীর্ঘদিন বাবার বাড়িতে অবস্থান করে। সম্প্রতি এলাকার ৮/১০ জনকে সাথে নিয়ে তার পিত্রালয়ে গিয়ে মিমাংসা করে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন তারা। তবে তিনি মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানেননা। তবে তার মাথায় একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে লোকমুখে শুনেছেন বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে এস‌আই হারুনুর রশিদ বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে মৃতের পরিবার দাবি করে আসছে। তবে প্রকৃত কারণ উদঘাটনে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর