1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
অপারেশনের নামে নিজেই রোগীদের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়িতে অজ্ঞাত কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক দক্ষ ও যুগোপযোগী করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী খুলনাসহ ৮ বিভাগে কালবৈশাখী ঝড়ের সতর্কতা জারি খুলনায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা ডুমুরিয়ায় উচচ ফলনশীল পাট বীজ উৎপাদন, পাট চাষ ও পাট পচনের আধুনিক প্রদ্ধতির ক্রমোন্নয়নে কর্মশালা তালায় ১১৫ শিক্ষার্থীর মাঝে অর্থ বিতরণ মুন্সীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’র বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

লাভ জনক হওয়ায় কচু চাষে ঝুঁকছেন শার্শার কৃষকরা

  • প্রকাশিত : শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩
  • ৬৯ বার পঠিত

আব্দুল মান্নান, শার্শা (যশোর):

যশোরের শার্শায় লাভ জনক হওয়ায় মুখিকচু চাষে ঝুঁকছেন বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কৃষকরা। কচু চাষে তুলনামূলক রোগ বালাই ও সার প্রয়োজন কম, উৎপাদন ভাল ও স্থানীয় ভাবে সহজলভ্য পাইকারি বাজার সৃষ্টি। নিয়মিত কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের উৎসাহ ও পরার্মশ প্রদান করা হচ্ছে। অল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় মুখিকচু চাষে একদিকে যেমন আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের, অন্যদিকে মৌসুমি এই কাজে নিন্ম আয়ের পরিবারের সদস্যদের অর্ন্তভূক্তিতে খন্ডকালিন কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ পরিবার গুলোতে বাড়তি আয়ের ব্যবস্থাও হচ্ছে । আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশে প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে মুখিকচু চাষ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, চলতি বছর উপজেলায় ১১৫ হেক্টর জমিতে মুখিকচু চাষ হয়েছে। অল্প খরচে অধিক লাভ জনক হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর ৫ হেক্টর বেশি জমিতে মুখি কচুর চাষ হয়েছে। সব চেয়ে বেশি চাষ করা হয়েছে উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নে ৮৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে কেরালখালী-বাসাবাড়ি, বসন্তপুর-পাড়িয়ারঘোপ, কন্দর্পপুর-ভায়না এলাকাতেই ৫০ হেক্টর জমিতে মুখি কচুর চাষ হয়েছে।

উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, শত শত বিঘা জমিতে দেশি ও উচ্চ ফলনশীল হাইব্রীড জাতের মুখিকচুর চাষ করা হয়েছে। পাড়িয়ারঘোপ গ্রামের আবু জাফর,সিদ্দিক বিশ্বাস আবদুল্লাহ, কেরালখালির বাবু, মিজান, তোতা, ইমরান, সালাম ও বিপ্লব, ভায়নার আজগার, বসন্তপুরের সাধন ও নৈহাটি গ্রামের তবিসহ বেশ কয়েকজন চাষির সাথে কথা হলে তারা জানান, এ বছর সকলে ৫থেকে১৫ বিঘা জমিতে মুখিকচু চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশ থাকায় এবং তেমন কোন রোগবালাই না হওয়ায় প্রতি বিঘায় আনুমানিক ৭০-৮০ মণ কচু উৎপাদনের আশা প্রকাশ করছেন।

চাষিরা আরো বলেন, কচু তোলার সময়ে যদি বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে পড়তে না হয় তবে সব খরচ বাদ দিয়ে তিনি দুই লক্ষাধিক টাকার লাভবান হবেন। এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় সকলেই কচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন এবং সেই সাথে ভাল দাম পাবারও আশা করছেন। সকলে বিঘা প্রতি ৪০-৪৫ হাজার টাকা লাভের মুখ দেখবেন বলে মনে করছেন। ধান অপেক্ষা কচু চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় এই অঞ্চলের চাষিদের মধ্যে কচু চাষে মৌসুমি ভিত্তিক আগ্রহ বাড়ছে।এ কাজে এলাকার নিন্ম আয়ের পরিবারের সদস্যরা কচু উৎপাদনে পরিচর্যা, জমিতে কচু তোলা, পরিষ্কার করা, শ্রমিকের কাজ ও পরিবহনে খন্ডকালিন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হওয়ায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সকলে কাজ করে বাড়তি অর্থ উপার্জন করে এই সময়ে কিছুটা সাবলম্বী হচ্ছেন।

বাসাবাড়ি বাজারের হালিমা ট্রেডার্সের মালিক কচুর পাইকারী ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে চাষিরা পুরোদমে মাঠের উৎপাদনকৃত মুখিকচু না উঠালেও স্থানীয় বাজার গুলোতে  অল্প সংখ্যক কচু উঠতে শুরু করেছে। শুরুতে দামও বেশ চড়া। আগামি এক-দুই সপ্তাহের মধ্যেই পুরোদমে কচু উঠতে শুরু করবে। বর্তমানে খচরা বাজারে ১কেজি মুখি কচুর দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে।

নিজামপুর ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা অসিত কুমার মন্ডল বলেন, মুখিকচু চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা ও নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়। মালের গ্রেডিং বিষয়ে ধারণাসহ উৎপাদিত পণ্য সহজলভ্য ভাবে বিক্রয়ের জন্য উপজেলার  বাসাবাড়ি বাজারে আমার কর্ম এলাকায় পাইকারি বাজার সৃষ্টি করণে কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে। ।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মন্ডল বলেন, মুখিকচু চাষে কোন মাঠ প্রদর্শনী নাই। তবে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের চাষপযোগী সকল সহযোগিতা সহ প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর