1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৫:৫০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্রদের পিছিয়ে পড়ার কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী এসএসসিতে দেশসেরা যশোর বোর্ড পাইকগাছায় চেয়ারম্যান প্রার্থী টিপুর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সংসদের সাথে মতবিনিময় মুন্সীগঞ্জে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় সভা পাইকগাছায় মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ কপিলমুনির মৎস্য ঘেরের বাসা থেকে মহিলার অর্ধ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করাই বর্তমান কমিশনের মূল লক্ষ্য-নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা ইউপি চেয়ারম্যান মিঠুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন পৃথিবীতে শক্তিশালী সৌরঝডড়ের আঘাত পাইকগাছায় শিবসা নদীর পাউবো’র ভেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন; চরম ঝুঁকিতে ৩ ইউনিয়নের অর্ধলক্ষ মানুষ

কিংবদন্তী সুরের যাদুকর আলম খান’র চিরবিদায়

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২
  • ২৬ বার পঠিত
কিংবদন্তী সুরের যাদুকর আলম খান

বাংলা গানের কিংবদন্তি সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খান আর নেই। শুক্রবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে মারা গেছেন তিনি। খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে-সংগীত পরিচালক আরমান খান।

এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় আরমান খান লিখেছেন, ‘আব্বা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আজ বেলা ১১টা ৩২ মিনিটে। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।’

বাংলা সিনেমার গানে অবিস্মরণীয় নাম আলম খান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি অসংখ্য কালজয়ী গান সৃষ্টি করেছেন। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ছিলেন।

আলম খানের জন্ম ১৯৪৪ সালের ২২ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের বানিয়াগাতি গ্রামে। ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন তিনি। এই স্কুলে থাকা অবস্থায়ই গানের প্রতি আগ্রহী হন এবং মায়ের উৎসাহে তিনি গানের চর্চা শুরু করেন। এরপর বাবাও সমর্থন দেন। তার ছোট ভাই ছিলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি পপ শিল্পী আজম খান।

গানের ভুবনে আলম খানের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৩ সালে। সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক রবিন ঘোষের সহকারী হিসেবে তিনি ‘তালাশ’ সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেন।

সাত বছর সহকারী হিসেবে কাজের পর ১৯৭০ সালে আলম খান একক সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তবে সাফল্য পেতে অনেকটা দেরি হয় তার। ১৯৭৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সারেং বৌ’ সিনেমার জন্য তিনি তৈরি করেন ‘ও রে নীল দরিয়া’ গানটি। দেশজুড়ে এটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এখনো সমান জনপ্রিয় গানটি।

এরপর আলম খান আরও বহু কালজয়ী গান সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস’, ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলিয়ে যাই’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘কি জাদু করিলা পিরিতি শিখাইলা’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, ‘সবাই তো ভালবাসা চায়’, ‘ভালবেসে গেলাম শুধু’, ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না তোমার তুলনা’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘তেল গেলে ফুরাইয়া’, ‘আমি তোমার বধূ তুমি আমার স্বামী’, ‘জীবনের গল্প বাকি আছে অল্প’, ‘মনে বড় আশা ছিল’, ‘সাথীরে যেও না কখনো দূরে’, ‘বেলি ফুলের মালা পরে’, ‘কাল তো ছিলাম ভাল’, ‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘ভালবাসিয়া গেলাম ফাঁসিয়া’, ‘তুমি কি এখন আমারই কথা ভাবছো’, ‘আকাশেতে লক্ষ তারা চাঁদ কিন্তু একটাইরে’ ইত্যাদি।

আলম খান তার ক্যারিয়ারে ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচবার পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে এবং একবার শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর