1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
গনতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে ছাত্র-শ্রমিকদের অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে- শিমুল বিশ্বাস সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিসারিজ’র আওতায় ৪৫০টি প্রকল্পে মৎস্যজীবী গ্রাম উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে ফুলবাড়ীতে বিষ প্রয়োগে ৬ বিঘা জমির ধান নষ্টের অভিযোগ মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত, আহত ২ বাংলাদেশ সিরিজসহ বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বড় জয়ে সিরিজ শুরু টাইগারদের চার মাসের প্রচেষ্টায় কোরআন শরীফ হাতে লিখলেন মসজিদের খাদেম সেলিম ডুমুরিয়ায় বিয়ে বাড়িতে শিশু ধর্ষণ, ডেকোরেটর কর্মী গ্রেপ্তার ইউএনও’র আদেশ অমান্য করে ডুমুরিয়ার ঘেংরাইল নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণকাজ ফের শুরু ১২ মে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ডুমুরিয়ার কানাই ডাঙ্গা স্লুইচ গেটের সামনে পলি পড়ে ভরাট, ইউএনও’র পরিদর্শন

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৪ বার পঠিত

শেখ মাহতাব হোসেন (ডুমুরিয়া) খুলনা::

এক সময়ের খরস্রোতা শোলমারী নদীর খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কানাই ডাঙ্গা স্লুইচ গেটের সামনে পলি পড়ে ভরাট হওয়ায় সেখানকার বিলের পানি সরবরাহ কার্যক্রম মারাত্নকভাবে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন।

জানায়ায়, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার এক সময়ের খরস্রোতা শোলমারী নদী পলিতে ভরাট হয়ে প্রায় সমতল ভুমিতে পরিণত হয়েছে। নদীর দু’পারের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে জেগে উঠেছে বিশাল চর। জোয়ারের  সময় এসব জাগ্রত চর নদীর পানিতে ডুবে যায়, আর ভাটায় ভাসে। ভাটার সময় নদীর বুক দিয়ে হেটে পারাপার হয় দু’পারের মানুষ। নদী সিলটেড হওয়ায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার হুমকীতে পড়তে যাচ্ছে খুলনা নগরীসহ যশোরের ভবদহ, খুলনার ডুমুরিয়া, রংপুর, গুটুদিয়া,রঘুনাথপুর, ভান্ডারপাড়া, বটিয়াঘাটার জলমা ইউনিয়নের বিলাঞ্চলসহ অন্তত অর্ধশত গ্রাম। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর বিলডাকাতিয়ার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ এই নদী।

জানা যায়, খুলনা শহরের কোল দিয়ে বয়ে গেছে ভৈরব ও রূপসা নদী। শহরের দক্ষিনে বটিয়াঘাটা সদরের পাশদিয়ে কাজীবাছা নদী পশুর নদীর সঙ্গে মিশে সুন্দরবনে মিলেছে। কাজীবাছা নদী শোলমারী হয়ে সালতার সাথে মিশে ভদ্রা নদী হলে শিপসা হয়ে সুন্দরবনে
মিলেছে। এক যুগ আগেও প্রায় ১’শ হাত গভিরতা ছিলো এ নদীর। বটিয়াঘাটা বাজার এলাকা থেকে বারোআড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত নদীর নাব্যতা একেবারই হারিয়ে গেছে। বটিয়াঘাটা, শোলমারি, শরাফপুরসহ বেশ কয়েকটা জায়গায় প্রায় সমতয়
ভ‚মিতে পরিণত হয়েছে।

পলি ভরাট হয়ে শোলমারি ১০ ভেন্টের সুইজ গেট এবং রামদিয়া ৯ ভেন্টের সুইহগেট গেটের কপাট আটকে পড়েছে। গত দুই সপ্তাহ যাবত শোলমারী গেটের মুখে পলি অপসারণ কাজ করছেন এলাকার জনগণ। বিলে অনেক বোরো ক্ষেত ধুধু করছে। এবার ধান ঘরে তুলতে কৃষকের প্রায় দ্বিগুন টাকা শ্রমিকের পেছনে গুনতে হচ্ছে। নদী সিলটেড হওয়ায় ভিতরের জমি ছাড়া অন্তত ১০/১২ ফুট উঁচু হয়ে গেছে নদীর বুক। ফলে স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে যাচ্ছে পাউবো’র ২৭, ২৮,ও ২৯নম্বর পোল্ডার আওতায় হাজার হাজার হেক্টর জমি।

এদিকে নদীর নাব্যতা ফেরাতে জোয়ার-ভাটার বিকল্প কিছুই মনে করছেন না সুধিজনেরা।

এ বিষয়ে ভান্ডার পাড়া ইউ পি চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র দে বলেন, এই নদীটির দুই দিকে জয়েন্ট। একদিকে শিবসা আর একদিকে কাজীবাছা নদী। এ নদীর সাথে শোলমারী, সালতাসহ বড় বড় নদী ও অনেকগুলো খাল-জলাশয় ছিলো। কিন্তু নদীর মুখগুলোতে ¯সুইজ গেট করে দেয়া হয়। এরপর আস্তে আস্তে নদীর স্রোত বিমুখ হয়ে যায়। দুই দিক দিয়ে জোয়ার আসার পর থমথম হলে পলি নিচে পড়ে ভাটায় পরিস্কার পানি বের হয়। ফলে দ্রুত পলিতে ভরাট হয়ে গেছে নদীটি। নদীর নাব্যতা ফেরাতে হলে স্রোত মুখর করতে হবে।
সেক্ষেত্রে ¯সুইজ গেট দিয়ে পানি উঠা-নামা করা একান্ত জরুরী বলে তিনি মনে করেন।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও হাসনাত বলেন, ‘নদীটি অনেক বড়, এটি খনন করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে বর্ষা মৌসুমের আগে গেটের কপাট ও মুখের পলি অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে টিআরএম বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি
বলেন, এটা এডিপি প্রকল্প ছাড়া সম্ভব না।

এটা হওয়া অনেক জটিলতা ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন বলেন, ‘নদীটিতে দুই দিকের পানি এসে থিতে যেয়ে দ্রুত সময়য়ের মধ্যে ভরাট হয়ে গেছে। স্রোতের ব্যবস্থা ছাড়া এ নদী বাঁচানো সম্ভব নয়। তবে যেটা হোক দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে জলাবদ্ধতার কবলে পড়বে এই অঞ্চল। শুধু ডুমুরিয়া তা কিন্তু না। জলাবদ্ধতায় পড়বে যশোরের ভবদহ ও খুলনা মহানগরের একটি
অংশ।

তিনি বলেছেন, সরকারের যত উন্নয়ন তা পানিতে তলিয়ে এক নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে। তবে স্থায়ী সমাধানে কৃত্রিম স্রোত বা টিআরএম যেটাই হোক দ্রুত করতে হবে।’

এদিকে ভৈরব নদী ও রূপসা নদীর সাথে মিশে আছে খুলনার প্রাণ। প্রচন্ড খরস্রোতার নদী দুইটিও বর্তমানে নাব্যতা হারিয়েছে। যে কারণে শেষ ভাটায় ছাড়া শহরের পানি আর নামছে না। তবে খুলনা মহানগরের পানি নিষ্কাশনে মাস্টার প্লানে কাজ চলছে। ৮’শ কোটি টাকায় ময়ুর নদীসহ ২২টি খাল পুনঃখননের টেন্ডার কাজ চলমান রয়েছে। ‘বর্তমানে ভৈরব ও রূপসা নদীতেও পলি পড়ে ভরাট হয়েছে। শেষ ভাটায় ছাড়া শহরের পানি নামছে না। এ নদী মারা গেলে খুলনা নগরী জলাবদ্ধতায় রূপ নেবে নিশ্চিত।‌২৯পোল্ডার কানাই ডাঙ্গা সুইস গেটের খাল খনন করে পানি সরবরাহ করার জন্য ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ
আল আমিন ভান্ডার পাড়া চেয়ারম্যান কে নির্দেশ দেন।

কানাই ডাঙ্গা সুইস গেট পরিদর্শন শেষে ভান্ডার পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনসহ সকল সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও হাসনাত, ভানডপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র দে,ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন, ইউ পি মেম্বার আসাদুজ্জামান
মিন্টু সহ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর