1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
বাংলাদেশ সিরিজসহ বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বড় জয়ে সিরিজ শুরু টাইগারদের চার মাসের প্রচেষ্টায় কোরআন শরীফ হাতে লিখলেন মসজিদের খাদেম সেলিম ডুমুরিয়ায় বিয়ে বাড়িতে শিশু ধর্ষণ, ডেকোরেটর কর্মী গ্রেপ্তার ইউএনও’র আদেশ অমান্য করে ডুমুরিয়ার ঘেংরাইল নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণকাজ ফের শুরু ১২ মে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ বাইক চেপে টিকটক, দুর্ঘটনায় পাইকগাছায় তিন কিশোর আহত কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনে আনারুল সভাপতি দিপংকর সম্পাদক নির্বাচিত পাইকগাছায় উচ্চ ফলনশীল পাট বীজ উৎপাদন, চাষ ও পচনের আধুনিক পদ্ধতির ক্রমোন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা প্রচন্ড দাবদাহে পাইকগাছায় সড়কে ছিটানো হচ্ছে পানি, তৃষ্ণা নিবারণে শরবত

পাইকগাছার তালতলা-নাছিরপুর খাল পুণ:খননে দূর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৯৬ বার পঠিত

সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প

শেখ দীন মাহমুদ ::

নানা প্রতিবন্ধকতায় উদ্ভোধনের প্রায় এক বছর পর শুরু হওয়া পাইকগাছার আলোচিত নাছিরপুর-তালতলা খালের পূণ:খনন কাজ শেষ হওয়ার আগেই সেখানে পানি ঢুকানোর তোড়-জোড় শুরু হয়েছে। প্রকল্পের একাংশ তালতলা খালের দেড় কি:মি: খননে দূর্নীতি-অনিয়মের মধ্যে শেষ করতে যাচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে তারা খাল থেকে সকল স্কেভেটর মেশিন উঠিয়ে প্রকল্পের অপর অংশ নাছিরপুরে ঢুকিয়েছে। একটি মাত্র স্কেভেটরে তালতলার প্রবেশ পথে খালের গভীরতায় সমতলের স্পিলিংয়ের কাজ করছে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বলা হচ্ছে, ৩ মিটার গভীরতায় মাটি কাটার কথা। আর বাস্কবতা বলছে, সেখানে কর্তন হয়েছে মাত্র এক থেকে দেড় মিটার। যদিও এরজন্য তারা প্রতিকূল পরিবেশকে দায়ী করছেন। তবে সর্বশেষ ঠিক কত মিটার গভীরতায় খনন হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে তোড়-জোড় শুরু হয়েছে স্লুইচ গেট দিয়ে পানি ঢোকানোর। ঠিকাদারের নিয়োগকৃতরা বলছেন, মাটি কেটে রাখলে তা আবার নীচে নেমে আসছে। এক বছর মেয়াদে এমন খালের কর্তন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

সর্বশেষ কাজের অগ্রগতি দেখে চলতি মেয়াদে বাস্তবায়ন নিয়ে আশংকা রয়েছে, এলাকাবাসীর পাশাপাশি খোদ মৎস্য অধিদপ্তরেরও।

জানাযায়, প্রকল্পে কার্যাদেশ প্রাপ্তির প্রায় এক বছর পর দ্বিতীয় দফায় চলতি বছরের জানুয়ারীতে তালতলা খালের প্রায় ২ কি:মি: এবং মার্চের মাঝামাঝিতে নাছিরপুর মুল খালের ৯কি:মি: পুণ:খননের কাজ শুরু হলেও বেশি দূর এগুতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এরই মাঝে একদিকে বর্ষার তাড়া অন্যদিকে লবণ পানি উত্তোলনের তোড়জোড় শুরু হওয়ায় কাজ শেষ করা নিয়ে আশংকা ক্রমশ দানা বাঁধছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব সুযোগকেই কাজে লাগাতে চাইছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

এদিকে এখন পর্যন্ত কাজের সফলতা ধরে রাখতে নাছিরপুর খালের একাধিক স্থানে ক্লোজার নির্মাণ করে খননকাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আকষ্মিক বৃষ্টি কিংবা স্লুইচ গেট দিয়ে পানি ঢুকে যাতে কার্যক্রম ব্যাহত না হয় সে কারণেই মূলত ক্লোজারগুলি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে চিংড়ী চাষ অধ্যুষিত জনপদে উৎপাদন মৌসুমের এখন পর্যন্ত লবণ পানি তুলতে না পারায় চরমভাবে ব্যাহ হচ্ছে চিংড়ী চাষ। এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর দাবি অন্তত নাছিরপুর মুল খালের সংযুক্ত তালতলা খালে লবণ পানির অনুপ্রবেশ। তবে লিংক খালটির মুখে অগ্রভাগে ক্লোজার নির্মাণ করায় সেটাও কাটা সম্ভব হচ্ছেনা। কেননা, একদিকে তালতলা খালটিও যেনতেন কেটে সংযোগমুখে একটি মাত্র স্কেভেটরে মাটি স্পিলিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। অন্যদিকে সালতা নদী সৃষ্ট নাছিরপুর খালের সংযোগ মুখে স্লুইচ গেটটি খুলে দিলে তালতলার আগে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়বে নাছিরপুর মূল খালে। এতে খাল পুণ:খনন কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হবে।

এলাকাবাসী বলছেন, প্রকল্পে শুরুতে তালতলা খাল পুণ:খনন কাজ শুরু হলেও তা শেষ না করেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দায়সারা খনন করে একটি বাদে সমুদয় স্কেভেটর নাছিরপুর খালে সরিয়ে নিয়েছে। আসলে বিষয়টি তাদের পরিকল্পনাহীনতা নাকি দুরভিসন্ধী তা খতিয়ে দেখারও দাবি উঠেছে।

তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য যাই হোক দীর্ঘ দিন খালগুলি পানিশূণ্য থাকায় মাছশূণ্য রয়েছে বিস্তির্ণ অঞ্চল। মৌসুমের প্রায় ৪ মাসওে পানি তুলতে না পারায় সেখানকার মাছ চাষীরা এখন পর্যন্ত কোন প্রকার চিংড়ী উৎপাদন করতে পারেনি। আর এ জন্য তারা যৌথভাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও মৎস্য বিভাগের দায়িত্বহীনতা, খামখেয়ালিপনা,দূর্নীতি অনিয়মকেই দায়ী করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সালতা নদীর শাখা সংযোগ নাছিরপুর-তালতলা ৯কি:মি: মুল খালের খনন ও পোদা নদী খননে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। গত বছরের ৬ এপ্রিল। আর শেষ হওয়ার কথা ছিল ঐ বছরের ৩০ মে। টেন্ডারে প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায় কুষ্টিয়ার শহীদুল ইসলামের মালিকানাধীন ইউনুচ এন্ড ব্রাদার্স। সে লক্ষ্যে ২১ এপ্রিল ২২’ স্থানীয় সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু খনন প্রকল্পের উদ্ভোধন করেছিলেন। তবে ঐসময় খালে পানি পরিপূর্ণসহ নানাবিধ প্রতিকূলতায় নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু করতে না পারায় বন্ধ থাকে খনন কাজ।

এরপর চলতি বছরের জানুয়ারীতে প্রকল্পের আওতায় প্রথমে তালতলা খালের ২কি:মি: এলাকার পূণর্খনন কাজ শুরু হয়। এরপর মার্চের মাঝামাঝিতে মূল নাছিরপুর খালের প্রায় ৯কি:মি: পুণ:খননের কাজ শুরু হয়। তবে দ্বিতীয় দফায় কাজ শুরু হলেও নতুন করে প্রকল্প সাইনবোর্ড দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে লবণ পানির চিংড়ী চাষের উপর নির্ভরশীল এলাকাবাসী খাল খননের কারণে উৎপাদন মৌসুমের ৩ মাস অতিবাহিত হলেও নদী থেকে পানি তুলতে না পারায় মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অন্যদিকে লবণ পানি না ওঠায় কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শে চিংড়ীর ঘেরে ধান চাষ করে ঠকেছেন কৃষকরা। কৃষি অফিসের পরামর্শে উদ্বুদ্ধ কৃষককূল ধানের আবাদ করলেও পরে কৃষি বিভাগের যথাযথ নীরিক্ষণ ও অব্যবস্থাপনায় মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ততার দরুণ বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে রাতারাতি ধান মরে সাবার হয়ে গেছে। ফলে পানির অভাবে যেমন মাছ চাষ হয়নি তেমনি অতিরিক্ত লবণাক্ততায় ধান চাষেও উৎপাদন ভাল হয়নি। ফলে কৃষকদের জমির হারির টাকা উঠানো নিয়ে ভিন্নমাত্রার আশংকা তৈরি হয়েছে।

খাল খননের ব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: টিপুসুলতানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় গত বছর খননকাজ শুরু করা যায়নি। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে চলতি বছরের শুরুতে খননকাজ শুরু হলেও আসন্ন বর্ষা মৌসুম ও স্থানীয় প্রতিকূলতায় চলতি মৌসুমে কাজ শেষ করা নিয়ে আশংকা তৈরি হয়েছে।

সোমবার এলাকাবাসীর তালতলা খালে নদীর পানি প্রবেশের খবরে সরেজমিনে প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ২ কি: মি: মতান্তরে দেড় কি:মি: তালতলা খাল খননে ৩মিটার বা প্রায় ১০ ফুট গভীরতায় খনন করার কথা থাকলেও ঠিকাদার কোথাও এক মিটার, কোথাও দেড় আবার কোথাও ২ মিটার পর্যন্ত গভীরে কর্তন করেছে। এছাড়া উজান মুখে ক্রমশ কম গভীরতায় কর্তন করেছে। অনেক এলাকায় আবার নরম পলি মাটি ধ্বসে বা সরে ফের খালের অভ্যন্তরে পড়েছে। এক কথায় খালের মাটি খালের সীমানায় রেখে স্কেভেটরের বুমের বাকেট টেনে স্লোপসহ গভীরতা দেখিয়ে কাজ সম্পন্ন করেছেন। যদিও প্রথম দিকে স্কেভেটরের চালকরা বলেছিলেন তারা প্রসেসিং করছেন পরে মূল খনন করা হবে। তবে বাস্তবে তার ঠিক উল্টো চিত্র।

স্থানীয় প্রীতিশ কুমার মন্ডল জানান, ঠিকাদাররা তাদের তালতলা খালের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমানায় খালের জমি ছেড়ে দিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমানায় বসতি এলাকায় খাল চেপে নামমাত্র খনন করে কার্য সম্পাদন করছেন।

এদিকে মূল নাছিরপুর খাল খননে নাম জটিলতার কারণে প্রথমে এর খনন শুরু করা যায়নি। পরে কর্তৃপক্ষ খননস্থল পরিদর্শনপূর্বক জটিলতার অবসান ঘটিয়ে মার্চের মাঝামাঝিতে ৯কি:মি: নাছিরপুর খালের খনন কাজ শুরু করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখানেও ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নিচ্ছেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা টিপু সুলতান আরো বলেন, দু’টি খালের একই ১০ ফুট গভীরতা ও উপরিভাগ যেখানে যেমন প্রস্থে অর্থাৎ ৭০/৮০/ বা ১০০ ফুট এবং পরিমাণমত তলদেশ খনন কাজ করা হচ্ছে। যদিও বাস্তব চিত্র তার উল্টো।

তিনি বলেন, সময় ও পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে খননকাজ এগিয়ে নিতে নাছিরপুর খালের উত্তর সীমানায় রাস্তার পাশে প্রথমে মাটি কেটে বুকড করছেন।

প্রসঙ্গত, বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কানাইডাঙ্গা, গোয়ালবাথান, কাশিমনগর, নাছিরপুর, রেজাকপুর, উ: সলুয়া, দ: সলুয়া, নগরশ্রীরামপুর মৌজার উপর দিয়ে প্রবাহিত নাছিরপুর খালটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম। বর্ষা মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকায় বিস্তির্ণ উপরিস্থলের পানি নিষ্কাশনে খালের কর্তনকৃত মাটি ফের ধুঁয়ে খালে পড়ে ভরাট হওয়ার আশংকা রয়েছে। একই সময় খালের মুখে সালতার সংযোগস্থলের স্লুইচ গেটটি খোলা থাকায় জোয়ারে পলিবাহিত পানি উত্তোলন অন্যদিকে উপরিভাগের নিষ্কাশিত বর্ষার পানি খালে পড়ে অল্প দিনেই ফের ভরাটের আশংকা দেখা দিয়েছে। আর এমনটি হলে সরকারের খাল খননের মহতি উদ্যোগ বহুলাংশে ভেস্তে যেতে পারে বলেও ধারণা অনেকের।

এদিকে খাল খননের বরাদ্দ ও খনন পরিধির ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি তার উর্দ্ধতন কর্তৃঈক্ষ ভাল বলতে পারবেন।

এব্যাপারে নাছিরপুর খালের ইজারাদার উত্তর সলুয়া আদর্শ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি: এর সভাপতি লুৎফর রহমান জানান, খাল খননের কারণে পানি ওঠা-নামা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার বলেন, খাল খননের স্বার্থে শুরুতেই তিনি খালের পানি শুকানোর ব্যবস্থা করেছেন। তবে দীর্ঘ দিন ধরে

প্রসঙ্গত, সরকার সামুদ্রিক একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ঊঋত) মৎস্য জরিপ পরিচালনার মাধ্যমে চিংড়ি, তলদেশীয় এবং ভাসমান প্রজাতির মৎস্যের মজুদ নিরূপন কর্মসূচি জোরদারকরণ, সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা সংস্থার সামর্থ্য বৃদ্ধিপূর্বক বিজ্ঞানভিত্তিক টেকসই মৎস্য মজুদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, বাণিজ্যিক ও ক্ষুদ্রায়তন মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নে অধিকতর কার্যকর পরিবীক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারী (এমসিএস) পদ্ধতির বাস্তবায়ন, উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, সার্ভিস সেন্টার, মৎস্যবাজর উন্নয়নকরতঃ আহরিত ও উৎপাদিত মৎস্যের ভ্যালূ চেইন উৎকর্ষ ও গুণগতমান উন্নয়ন ও অপচয় হ্রাস করা, উপকূলীয় জেলা সমূহে ক্লাস্টার ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির সম্প্রসারণ ঘটিয়ে বাগদা চিংড়ির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও চিংড়ি রপ্তানী বৃদ্ধি করা, দরিদ্র মৎস্যজীবী জনগোষ্ঠি কর্তৃক চালিত (ঈড়সসঁহরঃু উৎরাবহ উবাবষড়ঢ়সবহঃ) তাঁদের নেতৃত্বে উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ-এর টেকসই সহ-ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা এবং বিকল্প জীবিকায়নে সহায়তা করা, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ এর টেকসই আহরণ ব্যবস্থাপনায় ‘সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ প্রণয়ন, উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্রসকাটিং ইস্যুর ওপর সমীক্ষা পরিচালনার জন্য সারাদেশে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

স্থানীয়রা জানান, সালতা নদী থেকে সংযোগ খাল তালতলা নাছিরপুরে স্লুইচ গেটের মাধ্যমে পানি ওঠা-নামা করানো হয়। তবে দীর্ঘ দিন ধরে এর নিয়ন্ত্রণ খাল ইজারাদারদের হাতে চলে যাওয়ার দু’যুগেরও বেশি সময় ধরে খালটিতে নেট-পাটা দিয়ে অবাধে মাছ চাষ করার ফলে অতিদ্রুত খালটির নব্যতা হ্রাস পেয়ে এর অপমৃত্যু ঘটেছে। একদিকে খালটির অপমৃত্যু অন্যদিকে চরভরাটি বিস্তীর্ণ জমিতে শুরু হয় দখল প্রতিযোগীতা। সর্বশেষ সরকার খাল খননের উদ্যোগ নিলেও অনেক এলাকায় দখল বজায় রাখতে শুরু হয় জটিলতা।

সর্বশেষ সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের আওতায় খালখননের হ-য-র-ব-ল অবস্থায় পানি ঢুকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চিংড়ী চাষীরা। মৎস্য অধিদপ্তরের কাজ বুঝে নেওয়ার আগেই এমন পরিস্থিতিতে খালে পানি ঢুকলে ঠিকাদাররাই লাভবান হবেন। সব মিলিয়ে প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কার মধ্যে পানির জন্য হাহাকার পরিস্থিতি নতুন সংকট তৈরি করেছে। ##

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর