নিজস্ব প্রতিবেদক::
প্রতি বছর ভাষা শহীদ দিবস আসলেই শুরু হয় শহীদ মিনারটির সংষ্কার নিয়ে যত তোড়-জোড়। ভেঙ্গে ফেলার গত ৩ বছরেও সংষ্কার কিংবা সেদিন কারা এবং কেন ভেঙ্গেছিল শহীদ মিনারটির? এমন প্রশ্নেরও সমাধান আসেনি। এমনকি অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক তদন্ত কর্মকর্তার দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনের দু’বছর অতিবাহিত হলেও নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে এবারও ভাষা শহীদ দিবসে শ্রদ্ধা পারবেননা উপজেলার শ্রীকণ্ঠপুর নিন্ম মাধ্যমিক ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সাধারণ এলাকাবাসী।
গত ৩ বছর আগে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারী শহীদ মিনারটি কে বা কারা ভেঙ্গে দেয়। এর আগে ২০১০ সালে বিদ্যালয় দু’টির মাঠে শহীদ মিনারটি নির্মিত হয়। তবে তা ভেঙ্গে দেওয়ার পর থেকে প্রতীকি শহীদ মিনারেই শ্রদ্ধা জানাচ্ছে সেখানকার শিক্ষার্থীসহ সর্ব সাধারণ।
বিষয়টি নিয়ে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুস সালাম মোড়ল কয়েক দফায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন সূরাহা হয়নি।
স্থানীয়দের পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, বিদ্যালয় দু’টির শিক্ষার্থীসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের ভাষা শহীদ দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর কথা বিবেচনায় রেখে গত ২০১০ সালে ঐ শহীদ মিনারটি নির্মিত হয়। তবে ২০ সালের ২০ জানুয়ারী কে বা কারা শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলে। এরপর থেকে অদ্যবধি ৩ বছর অতিবাহিত হলেও তা আর সংষ্কার করা হয়নি।
এঘটনায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাবেক পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বিষয়টি তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। এরপর তিনি ৩১ জানুয়ারী ২০২১ তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু তারও দু’বছর কেটে গেলেও ঘটনায় কারো বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন এমনকি শহীদ মিনারটি সংষ্কারের জন্যও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিটিএ সভাপতি হারিছ হোসাইন জিয়া বলেন, শহীদ মিনাটি সংস্কার না হওয়ায় চলতি বছরও শহীদ মিনারে যেতে পারবেনা সেখানকার শিক্ষার্থীরা।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়া রানী বলেন, শহীদ মিনারটি আমাদের না। ওটা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। তবে ভাষা শহীদ দিবসে তাদের ছেলে-মেয়রাও সম্মিলিতভাবে সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে যেত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাই দেখভাল করেন। টিআর কাবিখা দিয়ে সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন হয়। তিনি সকলকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রতি নজর দিতেও বলেছেন। শহীদ মিনারটি এভাবে পড়ে থাকার কথা না। তবে বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সাথে দেখবেন বলেও জানান তিনি।