1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
পাইকগাছায় উচ্চ ফলনশীল পাট বীজ উৎপাদন, চাষ ও পচনের আধুনিক পদ্ধতির ক্রমোন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা প্রচন্ড দাবদাহে পাইকগাছায় সড়কে ছিটানো হচ্ছে পানি, তৃষ্ণা নিবারণে শরবত পাইকগাছায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদে ২০ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল কেশবপুর বাস-মিনিবাস ও ট্রাক মালিক সমিতির ৫ বছর মেয়াদী কমিটি গঠন চশমা প্রতীকে লড়বেন গোয়াইনঘাটের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আম্বিয়া কয়েছ অজ্ঞান পার্টির কবলে তরমুজ ব্যবসায়ীর লক্ষাধিক টাকা খোঁয়া ভারতীয় প্যাকেটে দেশীয় খাদ্যপণ্য প্যাকেট ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চানাচুর উৎপাদন, কপিলমুনির মদন চানাচুরকে জরিমানা কেশবপুর বাস-মিনিবাস ও ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচনে প্রতিক পেয়েই প্রার্থীদের প্রচারণা শুরু‌ টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যেপ্রতীক বরাদ্দ

রশিদের হ্যাটট্রিক কাজে আসেনি, শেষ ওভারে রিঙ্কু ম্যাজিকে কলকাতার অবিশ্বাস্য জয়

  • প্রকাশিত : রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৬২ বার পঠিত

দীপ্ত নিউজ ক্রীড়া ডেস্ক::

অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ জিতল কলকাতা নাইট রাইডার্স। নিশ্চিত পরাজয়কে জয়ে রূপান্তর করলেন রিঙ্কু সিংহ। শেষ ৬ বলে ২৯ রান নিয়ে আইপিএল ম্যাচে গুজরাতের বিরুদ্ধে কেকেআরকে জয়ী করলেন ৩ উইকেটে। গুজরাতের করা ৪ উইকেটে ২০৪ রানের জবাবে কেকেআর ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৭ করে এই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। মূলত রিঙ্কুর ঝড়েই উড়ে গেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্স। এক ইনিংসে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের নাম খোদাই করে নিলেন উত্তরপ্রদেশের এই ক্রিকেটার।

প্রথম ইনিংস শেষে মনে হয়েছিল, এই উইকেটে ম্যাচ জেতা কঠিন হবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের। কিন্তু কেকেআরের দুই ব্যাটার বেঙ্কটেশ আয়ার ও নীতীশ রানা ভালো খেলছিলেন। জেতার আশা জাগিয়েছিলেন তারা। কিন্তু রশিদ খানের হ্যাটট্রিকে আর একটু হলেই খানখান হয়ে যাচ্ছিল কেকেআরের স্বপ্ন। আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, শার্দূলরা পারলেন না। কিন্তু পারলেন রিঙ্কু। বুঝিয়ে দিলেন ক্রিকেটের সেই অমোঘ বাক্য, ‘ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা।’ শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত সেখানে কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়।

টসেই প্রথম চমক গুজরাতের। নীতীশ রানার সাথে টস করতে নামেন রশিদ খান। তার পরেই জানা যায়, হার্দিক পাণ্ড্য অসুস্থ। তাই এই ম্যাচে খেলবেন না তিনি। ব্যাট করতে নেমে অবশ্য হার্দিকের অভাব বোধ করতে দিলেন না কোনো ব্যাটার। শুরুটা ভালো করেন গুজরাতের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমন গিল। আগের ম্যাচে ৪ উইকেট নেয়া বরুণ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণ শুরু করেন তারা। ফলে বরুণকে ৪ ওভার বলই করাতে পারলেন না নীতীশ।

গুজরাতকে প্রথম ধাক্কা দেন সুনীল নারাইন। ১৭ রানের মাথায় ঋদ্ধিকে আউট করেন তিনি। ভাল খেলছিলেন শুভমন। তাকেও ফেরান নারাইন। ৩৯ রান করেন শুভমন। এই ম্যাচেও গুজরাতের ইনিংসকে টানলেন সাই সুদর্শন। আবার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নেমে নিজের কাজ করলেন তিনি। আগের ম্যাচে অর্ধশতরান করেছিলেন। এই ম্যাচেও অর্ধশতরান করলেন তিনি। তাকেও আউট করেন নারাইন।

মাঝের ওভারে নারাইনের সাথে মিলে কলকাতাকে খেলায় রেখেছিলেন দলের রহস্য স্পিনার সুযশ শর্মা। অভিনব মনোহরের উইকেট নেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল ১৮০-১৮৫ রান করবে গুজরাত। কিন্তু শেষ দু’ওভারে হাত খুললেন বিজয় শঙ্কর। লকি ফার্গুসনের ১৯তম ওভারে ২৪ রান করলেন তিনি। ফলে এক ধাক্কায় ২০০ পেরিয়ে গেল গুজরাতের রান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান করল গুজরাত। ২৪ বলে ৬৩ রান করে অপরাজিত থাকেন শঙ্কর।

জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কেকেআরের। দলের দুই ওপেনার রান পাননি। এই ম্যাচে আরো একবার নিজেদের ওপেনিং জুটি বদলায় কেকেআর। তাতে লাভ হয়নি। রহমানুল্লা গুরবাজ ১৫ ও নারায়ণ জগদীশন ৬ রান করে আউট হয়ে যান।

দেখে মনে হচ্ছিল, ওপেনারদের হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলবে কলকাতার ব্যাটিং। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে ১০০ রানের জুটি বাঁধলেন অধিনায়ক নীতীশ ও বেঙ্কটেশ আয়ার। দু’জনে মিলে হাত খোলা শুরু করেন। দলের অধিনায়ক রশিদের বিরুদ্ধেও বড় শট মারেন তারা। ফলে চাপে পড়ে যায় গুজরাত। ২৬ বলে অর্ধশতরান করেন বেঙ্কটেশ।

গুজরাতকে আবার ম্যাচে ফেরান আলজারি জোসেফ। ৪৫ রানের মাথায় নীতীশকে আউট করেন। তার পরেই রানের গতি কিছুটা কমে যায়। কিন্তু তখনো জরুরি রানরেট সাধ্যের মধ্যেই ছিল।

কলকাতাকে জিততে শেষ ৩০ বলে করতে হতো ৫৬ রান। ব্যাট চলছিল বেঙ্কটেশের। কিন্তু অন্য প্রান্তে রিঙ্কু সিংহ শুরু থেকেই বড় শট খেলতে পারছিলেন না। চাপে পড়ে বড় শট মারতে গিয়ে ৮৩ রানের মাথায় আউট হয়ে যান বেঙ্কটেশ। চাপে পড়ে যায় কেকেআর।

কলকাতার জয় নির্ভর করছিল আন্দ্রে রাসেলের হাতে। কিন্তু আগের ৩ ওভারে ৩৫ রান খাওয়া রশিদ নিজের শেষ ওভারে গিয়ে জ্বলে উঠলেন। পর পর তিন বলে রাসেল, নারাইন ও শার্দূল ঠাকুরকে আউট করে এবারের আইপিএলে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। রশিদের হ্যাটট্রিকের পর কলকাতার জয় ছিল স্বপ্ন।

শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৯ রান। যশ দয়ালের প্রথম বলে ১ রান নেন উমেশ যাদব। পরের ৫ বলে ৫টি ছক্কা মারলেন রিঙ্কু। শেষ বল মেরে আর তাকাননি তিনি। সোজা ছোটেন ডাগআউটের দিকে। তখন উল্লাসে মত্ত কেকেআরের ক্রিকেটাররা। অন্য দিকে মাঠে হতাশ হয়ে দাঁড়িয়ে গুজরাতের ক্রিকেটাররা। তখনও হার বিশ্বাস হচ্ছে না তাদের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর