1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:০৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
পাইকগাছায় উচ্চ ফলনশীল পাট বীজ উৎপাদন, চাষ ও পচনের আধুনিক পদ্ধতির ক্রমোন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা প্রচন্ড দাবদাহে পাইকগাছায় সড়কে ছিটানো হচ্ছে পানি, তৃষ্ণা নিবারণে শরবত পাইকগাছায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদে ২০ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল কেশবপুর বাস-মিনিবাস ও ট্রাক মালিক সমিতির ৫ বছর মেয়াদী কমিটি গঠন চশমা প্রতীকে লড়বেন গোয়াইনঘাটের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আম্বিয়া কয়েছ অজ্ঞান পার্টির কবলে তরমুজ ব্যবসায়ীর লক্ষাধিক টাকা খোঁয়া ভারতীয় প্যাকেটে দেশীয় খাদ্যপণ্য প্যাকেট ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চানাচুর উৎপাদন, কপিলমুনির মদন চানাচুরকে জরিমানা কেশবপুর বাস-মিনিবাস ও ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচনে প্রতিক পেয়েই প্রার্থীদের প্রচারণা শুরু‌ টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যেপ্রতীক বরাদ্দ

রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩
  • ৪৩ বার পঠিত

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক::

রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার নিয়ে বাংলাদেশি কূটনীতিকদের সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই যে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছে অপপ্রচার সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা। যদি এটা করা হয়, তাহলে মিথ্যা রটনাকারীরা বিভ্রান্তি সৃষ্টির কোনো সুযোগ পাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব জায়গায় আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়েছে, সেই জায়গাগুলোতে আমাদের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত, যাতে তারাও অপপ্রচার এবং ভুল তথ্যের শিকার হয়ে বিভ্রান্ত না হয়।’

মঙ্গলবার ইতালির রোমে প্রধানমন্ত্রী তার আবাসস্থলে ইউরোপে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক আছে যারা অপরাধ করে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তারা দেশের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। যারা কখনোই দেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেনি, এমন কিছু লোক এবং কিছু অপরাধী যারা অপরাধ করে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তারা দেশের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা দেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচার করেছে, তাই তারা হাজার কোটি টাকা দেশের বিরুদ্ধে ব্যয় করতে সক্ষম। তিনি বলেন, ‘তাদের কত আছে! তারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে, মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।’

তিনি বলেন, এমনও কিছু মানুষ আছেন, যারা দুর্নীতি বা অপরাধ করার মতো নানা কারণে চাকরি হারিয়েছেন, এখন বিদেশে বসে সরকারের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
আমি জানি না, তারা এত টাকা কোথায় পায়।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ খোঁজ করলে খুব পরিচিত কিছু মুখ দেখতে পাবেন এবং তারা সর্বত্র মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন ও অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

অনেক সময় বিদেশিরা ভুল তথ্যের কারণে বিভ্রান্ত হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতি নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে কীভাবে সরিয়ে দেওয়া যায়, তা নিয়ে দু’একটি দেশ ব্যস্ত থাকে। তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া, যারা খুনিদের আশ্রয় দেয় এবং অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত, তাদের কাছ থেকে আমাদের মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা অগ্নিসংযোগের অভিযোগে অভিযুক্ত, তাদের মানবাধিকার রক্ষায় তারা ব্যস্ত কিন্তু নিহত, আত্মীয়-স্বজন বা যারা দগ্ধ হয়েছেন, তাদের কোনো পরোয়া করেন না।

প্রধানমন্ত্রী র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে নিয়োজিত, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এর ফলে তারা আস্থা হারিয়ে ফেলে।’

এটি মানুষকে তাদের অপরাধ প্রবণতা বাড়াতে উৎসাহিত করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রতিরোধ করেছিল, তাদের ওপরই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিসের জন্য এটা করা হলো?’

তিনি বলেন, তারা একদিকে মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য আওয়াজ তুলছেন, অন্যদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের পক্ষে কথা বলছেন। এই দ্বিচারিতা চলছে বিশ্বময়। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের বিষয়ে তার সরকারের অবস্থানের কথাও উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী মানবাধিকারের কথা বলতে গিয়ে বলেন, মানবাধিকার রক্ষা কেউ করলে, সেটা আওয়ামী লীগই করে, আর যারা মানবাধিকারের কথা বলে তারা মানুষ হত্যা করে। দেশের নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা তার বাবা-মা, ভাই, আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের গুলি করে হত্যা করেছে, তারা এখনো সে দেশে পলাতক রয়েছে।

তিনি বলেন, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা খুনিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়নি। ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের সুরক্ষা দেওয়া এবং যারা মানবাধিকার রক্ষা করে, তাদের বিরুদ্ধে যাওয়া- আমি এটিকে একটি খেলা হিসেবে দেখি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি মানবাধিকারে বিশ্বাস না করি এবং আমাদের মধ্যে যদি মানবিক দিকগুলো না-ই থাকে, তাহলে কীভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর