1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন

খুলনায় পিবিআই পরিদর্শক মাসুদ কর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকারের প্রতিবাদে ভিকটিমের সংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২
  • ২৪ বার পঠিত

খুলনা প্রতিনিধি:


খুলনা পিবিআই পরিদর্শক মাসুদ কতৃক ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করার প্রতিবাদে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী সেই নারী। মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, অভিযুক্ত পিবিআই পরিদর্শক মাসুদ তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে এবং মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে এএসআই মিরানসহ তাকে জড়িয়ে বিভিন্ন কুৎসা রটনা করছে ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঘটনার উদ্বৃতি দিয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, পিবিআই পরিদর্শক মাসুদ ইউটিউব চ্যানেলে গান-বাজনা করেন। সেখান থেকে মাসুদের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মোবাইল সিম নম্বর সংগ্রহ করেন তিনি। ১০ মে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ভিকটিমের ব্যক্তিগত সমস্যার কথা ফোনে মাসুকে জানালে সে ভিকটিমকে পিবিআই অফিসে দেখা করতে বলেন। সেখানে গেলে মাসুদ তার ফোনের সবকিছু দেখে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে পরে তাকে দেখা করতে বলেন।

এরপর মাসুদ তাকে ফোন করে একটি ইমো একাউন্ট খোলার কথা বলেন। এরপর ইমোতে ওই নারীর মাসুদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ হতো বলে জানান তিনি। এমনকি প্রতিদিন ওই নরীর সাথে ৫/৬ বার কথাও বলত মাসুদ। গত ১৩ মে ফোন দিয়ে ওই নারীকে সে জানায় ঢাকা যাচ্ছেন তিনি। ১৪ মে ফোন দিয়ে মাসুদ তাকে পরেরদিন দেখা করার কথা বললে তিনি জানতে চান মাসুদ পিবিআই অফিসে কিনা, মাসুদ প্রতিউত্তরে
জানান না।

পরেরদিন ১৫ মে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ইমোতে ফোন দিয়ে মাসুদ তাকে ধর্মসভা মন্দিরের সামনে আসতে বলেন। ওই নারী ধর্মসভা মন্দির কোথায় তা চিনেন না জানালে মাসুদ রিক্সায় করে সেখানে আসতে বলেন। সেখানে তাকে বলা হয় সাইবার ক্রাইম অফিসে যেতে হবে। এরপর ধর্মসভা মন্দির থেকে মোটরসাইকেলযোগে তাকে ছোট মির্জাপুর একটি অফিসে নিয়ে যায়। রুমের ভেতর যাওয়ার সাথে সাথে অপরিচিত এক ব্যক্তি অফিসের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়। এরপর ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাসুদ তাকে ধর্ষণ করে বলেও দাবি করেন তিনি। ঘটনার সময় নিজেকে রক্ষার শত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বলেও জানান তিনি।

এরপর ধর্ষণের ঘটনা কাউকে কিছু জানালে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ওই অফিস থেকে বের করে দেন মাসুদ। এর আগে তাকে মারধর করাও হয়। ওই অফিস থেকে বের হওয়র পর তিনি রিক্সায় উঠে সরাসরি থানায় চলে আসেন। মাসুদও মোটরসাইকেল নিয়ে তার রিক্সার পিছু নিয়ে থানার গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকে। ওখানে মাসুদের অবস্থান দেখে ভয় পান ওই নারী। এরপর খুলনা সদর থানার একজন পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুনের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বিষয়টি তাকে জানান ওই নারী। এরপর খুলনা থানা পুলিশ তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে আলমত সংগ্রহের চেষ্টা করেন। সেখানে দেড় থেকে ২ ঘন্টা অপেক্ষার পর তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় বলেও সাংবাদিক সম্মেলনে জানান তিনি।

এসময় তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, খুলনা থানার এএসআই মো: মিরান শেখ ও ভিকটিমকে নিয়ে মাসুদ বিভ্রান্তিমূলক কথা ছাড়াচ্ছেন। যা মঙ্গলবারের বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে তিনি জেনেছেন। আর মিরান শেখ নামে কাউকে তিনি চেনেন না বলেও সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে জোর দাবি করেন তিনি। সোমবার
(৩০মে) মামলাটি আপোষ করার জন্য পিবিআই পরিদর্শক মাসুদ সোহেল নামে একব্যক্তিকে তার কাছে পাঠানো হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি।

ভুক্তভোগী ওই নারী আরও বলেন, সোমবার (৩০ মে) মাসুদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলা থেকে রেহাই পেতে। কিন্তু তার নামে এরকম অসংখ্য নারী কেলেঙ্কারী রয়েছে, যা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এর আগে প্রকাশিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই নারী ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক সঠিক বিচার দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর