1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
কয়রায় প্রানিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত চলে গেলেন সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা সিন্দাইনী আশাশুনিতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রাজ’র মনোনয়ন সংগ্রহের অর্থ জমা মুন্সীগঞ্জে মাই টিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত টাঙ্গাইলের ভুঞাপু‌রে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটলেন স্ত্রী কয়রার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন গল্পবোনার ১৩ বছর সৈয়দপুরে সময় টিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত উপজেলা নির্বাচন: শার্শার প্রার্থীরা তাকিয়ে আছেন দলীয় সিদ্ধান্তের দিকে মুন্সীগঞ্জে রিপোর্টস ক্লাবের কমিটি গঠন: আহবায়ক মোঃ জাফর, সাকিব সদস্য সচিব ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহত ১২ জন

কয়লা সংকটে বন্ধ রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট, খুলনায় শীত মৌসুমেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট

  • প্রকাশিত : শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৮ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:


দেশে অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় অর্ধেক
কমে যায়। তবুও স্বল্প চাহিদার বিপরীতেও কাঙ্খিত বিদ্যুৎ উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। যার ফলে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে (ওজোপাডিকো) মাঘ মাসের শুরুতেই খুলনায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে । গত বৃহস্পতিবার অফ পিক আওয়ারে খুলনায় লোডশেডিং ছিলো প্রায় ২৪ মেগাওয়াট, আর পিক আওয়ারে লোডশেডিং ছিলো ৪ মেগাওয়াট। শুক্রবার সকালেও লোডশেডিং ছিলো ৫ মেগাওয়াট। যার ফলে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিলো না বিদ্যুৎ।

ওজোপাডিকো সূত্রে জানা যায়, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকায় কাঙ্খিত বিদ্যুৎতের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। এছাড়া অন্যান্য কেন্দ্র গুলোরও উৎপাদন হঠাৎ কমে যাচ্ছে।

জানা যায়, কয়লার অভাবে গত ৮ দিন যাবত বন্ধ রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। যার উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে নিয়মিত ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে ৪৬০ মেগাওয়াট ঢাকার জাতীয় গ্রিডে এবং ২০০ মেগাওয়াট খুলনাসহ ওজোপাডিকোতে সরবরাহ করা হচ্ছিল। গত ১৪ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পদ্মার এপারের ২১টি জেলায়।

সূত্রটি জানায়, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ১৭ ডিসেম্বর। শুরুর মাত্র ২৭ দিনের মাথায় গত ১৪ জানুয়ারি সকালে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, নিয়মিত উৎপাদনের জন্য কেন্দ্রটিতে প্রায় ৫
হাজার টন কয়লা লাগত। কয়লা আসত ইন্দোনেশিয়া থেকে। কিন্তু ডলার সংকটে কয়লা আনা যাচ্ছে না। চলতি বছরের জুনে এ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবেকয়লা সংকটে তাও ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

এর আগে, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লি.
(বিআইএফপিসিএল)-এর উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার না দেওয়ায় কয়লা আমদানি করা যায়নি। ইন্দোনেশিয়ায় কয়লাবোঝাই একটি জাহাজ প্রস্তুত আছে। ঋণপত্র পেলে জাহাজটি বাংলাদেশের পথে রওনা হবে। দ্রুত এই সংকট নিরসনের চেষ্টা করছেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর