আক্তারুজ্জামান লিটন:
খুলনায় ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধষর্ণের দায়ে আসামি মো: আল আমিনকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। আসামি মো: আল আমিন নিজখামার বিশ্বাস প্রোপারটিজ এলাকার বাসিন্দা জনৈক মো: রুস্তুম খাঁর ছেলে।
সোমবার ( ৬ মার্চ ) খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আ: ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: রুবেল খান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, ৭ম শ্রেণির ছাত্রী বিশ্বাস প্রোপারটিজ এলাকার বাসিন্দা ও হোগলাডাঙ্গার স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে আসামি আল আমিনের স্ত্রী মনি বেগম ভিকটিমের মাকে জানায় তার জামাইয়ের ফোনে ওই স্কুলছাত্রীর খারাপ ছবি আছে। ভিকটিমের মা সেটি দেখে মেয়েকে ঘটনার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। একপর্যায়ে ভিকটিম তার মাকে জানায় একই বছরের ১ এপ্রিল তাকে আইসক্রিম খাওয়ানোর কথাসহ বিভিন্ন প্রোলভন দেখিয়ে নিজখামার এলকায় আসামির দুলাভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে প্রলুব্ধ করে ধর্ষণ করে।
এমনকি আসামির কথা মত না আসলে ধারনকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি প্রদান করে আসামি। তার ভয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ও ভিডিওর কথা এতদিন গোপন রেখেছিল বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এরপর ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর মা ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর খুলনার লবনচরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনীয় ২০০৩) এর ৯(১) ধারা তৎসহ পর্নোগ্রাফি আইন ২০১৩ এর ৮(১) ধারায় আল আমিনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর ২০২২ সালের ১২ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মোকলেকুর রহমান আসামি আল আমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ৮ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
সর্বশেষ আজ সোমবার ওই মামলায় ধষর্ণের দায়ে আসামি মো: আল আমিনকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।