1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
নলছিটি কৃষি ব্যাংকে উৎসবমুখর পরিবেশে হালখাতা উদযাপন পাইকগাছা কৃষি ব্যাংকে হালখাতা অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় ভ্রাম্যমান আদালতে আইসক্রিম কারখানার মালিককে জরিমানা তীব্র দাবদাহ: মুন্সীগঞ্জে পানি-ছাতার ব‍্যাতিক্রম বুথ সাংবাদিক মিলন কান্তি দাস বৈচন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত পাইকগাছা উপজেলা গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত খুলনায় ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন উদ্যোগ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত কেশবপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মফিজুর রহমান মফিজের ব্যাপক গণসংযোগ তালায় ৬০ বছর ধরে অবৈধ দখলে থাকা ৩৩ বিঘা সরকারি জমি উদ্ধার কয়রায় নীতি সমস্যা বিশ্লেষণ ও সমাধান কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ডুমুরিয়ার কৃষক-ব্যবসায়ীদের গুদামে চাল বিক্রিতে অনাগ্রহ, ১৬ কি:মি: দূরে চাল দিচ্ছেন খুলনার ব্যবসায়ীরা

  • প্রকাশিত : শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ২৬ বার পঠিত

শেখ মাহতাব হোসেন, (ডুমুরিয়া) খুলনা::

চলতি আমন সংগ্রহ মৌসুমের ২মাস চলে গেলেও খুলনার ডুমুরিয়ার কোন কৃষক উপজেলা খাদ্য গুদামে ১ কেজি ধানও বিক্রি করেনি।
তবে ব্যবসায়ীরা খুলনা জেলা শহর থেকে মাত্র ৪২ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৯শ’ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করে তা গুদামে বিক্রি করায় জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

ডুমুরিয়া উপজেলা নিয়ন্ত্রকের অফিসে কথা বলে জানা গেছে, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আমন ধান বা চাল কেনার লক্ষ্যে সরকার উপজেলাকে ধান কেজি প্রতি ২৮ টাকা দরে ৯৫ মেট্রিক টন সি চাল কেজি প্রতি ৪২ টাকা দরে ৪শ ৮৩ মেট্রিক টন কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়।

আর গত ১৭ নভেম্বর থেকে ডুমুরিয়ায় অভ্যন্তরিন আমন সংগ্রহ শুরু হয়। কিন্তু সরকারি গুদাম থেকে খোলা বাজারে কোন প্রকার ঝামেলায় ছাড়াই বেশি দাম পাওয়ায় কোনো কৃষক কিংবা ব্যবসায়ী অদ্যবধি গুদামে ১ কেজি ধানও বিক্রি করেনি।

অপরদিকে ডুমুরিয়া উপজেলার এম.এ জামান অটোরাইড মিলসহ ৩টি মিল খাদ্য গুদামে ২শ’ ৫৪ মেট্রিক টন চাল দিতে চুক্তিবদ্ধ থাকলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ১০ মেট্রিক টন চাল দিয়েছে। তবে খুলনা শহরের চাল ব্যবসায়ীরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অনুমতি নিয়ে ১৬ কিলোমিটার দূরে ডুমুরিয়া উপজেলা খাদ্য গুদামে ৯শ’ ৬৬ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করেছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামরুল ইসলাম বলেন, কোনো কৃষক ধান দিতে আসেনি। আর খুলনা মহানগর থেকে চাল পেয়েছি ৮শ ৪৫ মেট্রিক টন।

ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা তৈয়েবুর রহমান বলেন, ধানের বাজারদর সরকার নির্ধারিত মূল্যের অনুকুলে না থাকায় কৃষকরা গুদামে ধান বিক্রি করতে আসেনি। তবে ডুমুরিয়ার মিলগুলোতে ২শ’ ৫৪ মেট্রিক টন চালের লক্ষমাত্র থাকলেও চুকনগরের জামান আটো ও শাহিন রাইচ মিল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ১০ মেট্রিক টন চাল দিয়েছে। কিন্তু খুলনা মহানগরের মিলগুলো থেকে ১ হাজার ৮০ মেট্রিক টন লক্ষমাত্রার বিপরিতে এ পর্যন্ত ৬৬ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।

ডুমুরিয়ার ধান চাষি মোশাররফ হোসেন কচি বলেন, ডুমুরিয়ায় উৎপাদিত ধান খোলা বাজারে ১২ থেকে সাড়ে ১২শ’ টাকা মন প্রতি বিক্রি হচ্ছে। আর চাল বিক্রি হচ্ছে, ৫৫-৫৮ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। খোলা বাজারে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই বেশি দাম পাওয়ায় কৃষকদের কেউ গুদামমুখী হচ্ছেনা। কিন্তু খুলনা জেলায় ধান-চাল দেওয়ার সুব্যবসস্থা থাকলেও শহরের চাল ব্যবসায়ীরা কিভাবে বা কেনো ১৬ কিলেমিটার দূরে এসে ডুমুরিয়ার খাদ্যগুদামে বিক্রি করছে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধও করেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে গুদাম থেকে যে চাল দেওয়া হয় ওই সব চালই শহরের বিভিন্ন হাত ঘুরে নতুন রুপে গুদামে ফিরে আসছে। খুলনা শহরের গুদামে চাল দেওয়ার সুব্যবস্থা থাকার পরও কেনো ১৬ কিলোমিটার দূরে এবং বাজার থেকেও কম দামে ডুমুরিয়ার গুদামে নিচ্ছেন, জানতে চাইলে মহানগর মিল মালিক সমিতির সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, আমার মিল থেকে ডুমুরিয়ায় পাঠানো সোজা। আর সরকার বিপদে পড়বে, তাই লোকসান হলেও আমরা সব সময় চাল দিয়ে থাকি।

তবে খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি নতুন যোগদান করেছেন, তাই ডুমুরিয়ার কৃষক-ব্যবসায়ীরা ধান-চাল না দিলেও খুলনা শহরের চাল ব্যবসায়ীরা ডুমুরিয়ার গুদামে কিভাবে চাল দিচ্ছে সে বিষয়টি একটু বুঝতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর