1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:

যশোর বার্তার মিলন মেলায় বাড়তি প্রশান্তি অপরূপ ফুলের রাজ্য গদখালি

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২৩৫ বার পঠিত
dumuriya-5354

যশোর গদখালী থেকে ফিরে শেখ মাহতাব হোসেন :


যশোর ঝিকরগাছা গদখালীতে ফুল চাষ দেখতে আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন। যশোরের গদখালীতে ফুল চাষ দেখতে
আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন।

মন ভালো রাখতে হলে প্রকৃতির বিকল্প নেই। জীবনকে উপভোগ করতে অনেকেই ভ্রমণ পিপাসু হয়ে থাকেন। আমাদের দেশের সব থেকে বড় ফুলের বাগান যশোরের গদখালীতে ভ্রমণ করলে মনে হবে, সৃষ্টিকর্তা মনে হয় নিজ হাতে তৈরি করে দিয়েছেন ভ্রমণ
পিপাসুদের জন্য।

ব্যস্ততম এই জীবনযাত্রার মাঝে হৃদয়ে প্রশান্তি এনে দিতে, অপরূপ ফুলের সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে এবং তা থেকে শিক্ষা লাভের জন্য ভ্রমণের অন্যতম স্থান হতে পারে ফুলের রাজ্য যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী।

হঠাৎ করেই শুক্রবার সন্ধ্যায় দৈনিক যশোর বার্তা পত্রিকার সম্পাদক মোঃ শিহাব উদ্দিন ভাইয়ের সাথে কথা বলি ভাই আমি সকালে আসছি শিহাব উদ্দিন ভাই বলেন মাহতাব ভাই আপনি আসছেন বলে আমি খুশি হলাম। যশোর ঝিকরগাছা গদখালি অনুরোধে রাজি হয়ে গেলাম, ঠিক আছে আমি যাবো যশোরের গদখালী। যে ভাবনা সেই কাজ। রওনা হলাম ১৭ ফেরুয়ারী‌ শনিবার সকাল বাড়ী
৬টা৫৫মিনিটির সময় বাসে উঠে রওনা হই।

সকাল ১০টায় দৈনিক যশোর বার্তা পত্রিকার অফিসে ‌যেয়ে সম্পাদক মোঃ শিহাব উদ্দিন ভাইয়ের কাছে ফোন দিলে তিনি ‌বলেন আমি বাজারে মাংশ কিনতে এসেছি, আপনি এক‌ কাপ চা খেতে লাগেন আমি ‌আসছি কিছু খনের ভিতরে সম্পাদক সাহেব অফিসে এসে আমাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন, ১১টার সময় দৈনিক যশোর বার্তা পত্রিকার অফিস থেকে সম্পাদক মোঃ শিহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে মোটর সাইকেল যোগে আমরা গদখালী উদ্দেশে রওয়ানা হই যশোর বার্তা ফটো সাংবাদিক এনামুল ভাইয়ের বাইকে উঠে বসলাম।
সিনিয়র সাংবাদিক এম মুজাহিদ আলী, দৈনিক যশোর বার্তা পত্রিকার সহকারী সম্পাদক শেখ ওয়ালিউর রহমান, সাপ্তাহিক চৌগাছা’র সম্পাদক খাজা ফজিল আইজ উজ্জল, সাপ্তাহিক স্মৃতির বার্তা’র সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবের সহ- সভাপতি আতাউর রহমান জসি, সহ-সভাপতি এম আর মাসুদ, সিনিয়র প্রতিবেদক শরিফুল ইসলাম, ফটো সাংবাদিক এম এম কবির, সাতক্ষীরা ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ মুজাহিদ, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মোখলেছুর রহমান জয়, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি নওয়াব আলী,
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি স ম কামাল হোসেন, দেখতে থাকলাম শতবর্ষী পুরোনো সেই বেনাপোল মহাসড়কের শিশুগাছগুলো। যাওয়ার পথের প্রকৃতির এই দৃশ্য কোনো ভাবেই ভোলার নয়। চারদিকে অপরূপ দৃশ্য, সারি সারি শিশুগাছ তো আছেই। দেখে মন ভরে যায়। দেশের ফুলের মোট চাহিদার বড় অংশের জোগান দেন ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার ফুলচাষিরা। দেশের ফুলের মোট চাহিদার বড় অংশের জোগান দেন ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার ফুলচাষিরা।

প্রায় এক ঘণ্টা পর স্বপ্নময় গদখালীতে। সেখান থেকে রওনা হলাম পানিসারা বাজারের উদ্দেশে। বড় রাস্তা পেরিয়ে গ্রামের পথে ঢোকার কিছু পরেই ফুলের রাজ্যের দেখা পেলাম। দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। যেন বিখ্যাত কোনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি। পানিসারা
বাজারের বেশ কিছুটা পথ আগেই নেমে পড়লাম। হেঁটে হেঁটে দেখছিলাম পুরো এলাকা। তখন মনে হচ্ছিল, কোথা থেকে কোথায় আসা। সব দিকে ফুল আর ফুল। পথে পথে গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্ল্যাডিউলাসসহ বিভিন্ন ফুলের মাঠের দেখা পেলাম। কোথাও খোলা মাঠে, আবার কোথাও ছাউনি দিয়ে সারি বেঁধে চলছে নানান রঙের ফুলের চাষ। পাশের এক গোলাপ বাগানে বেশ কয়েকজন কৃষককে ব্যস্ত দেখলাম ফুল কাটতে। স্তূপ করে রাখা এই ফুল ছড়িয়ে পড়বে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। দেশের ফুলের মোট চাহিদার একটা বড় অংশের জোগান দিয়ে থাকেন ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার এই ফুলচাষিরা। ১৯৮৪ সালের দিকে এখানে ফুলের চাষ শুরু হয়। পরে কয়েক দশকে ফুল চাষে স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে কয়েক গুণ।

ফুলের মধ্য গোলাপের চাহিদা বেশি। ফুলের মধ্য গোলাপের চাহিদা বেশি। বর্তমানে ওই এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার কৃষক জড়িত ফুল চাষে। শুধু গদখালী বাজারেই প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার ফুলের বেচাকেনা চলে। যা নীরবে দেশের অর্থনীতির চাকাকে আরও সচল
করছে।

এখন ঝিকরগাছা, শার্শা ছাড়াও যশোরের মনিরামপুর, কেশবপুরেও বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেটে, বিদেশি সিনেমায় ইউরোপের ফুল বাগানের ছবি দেখেছি। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এ রকম ফুলের বাগান আমাদের দেশেও আছে, তা না দেখলে
কেউ বুঝতে পারবেন না। এ যেন পৃথিবীর মাঝে এক স্বর্গ উদ্যান। বিমোহিত হয়েই কাটল পুরোটা বিকেল। ফুল কিনে ফেরার পথ ধরলাম।এর পূর্বে আমরা সবাই দুপুরে মধ্যে ভজন করে,‌সবাই মিলে ফটোশপ করে ‌অনেকেই বক্তব্য দিলেন, বক্তব্য শেষে ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি শেখ মাহতাব হোসেন কে প্রথম পুরস্কার হাতে তুলে দেন ‌সম্পাদক মোঃ শিহাব উদ্দিনসহ গুনিজনরা সব অনুষ্ঠান শেষে আমাকে যশোর বাসটার্মিনালে নামিয়ে দেন।

ধন্যবাদ জানাই যশোর বার্তা পত্রিকার সম্পাদকসহ সকলকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর