খোরশেদ আলম::
রাজশাহীর বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া বাজারে ১৫টি দোকান ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। রবিবার ভোর আনুমানিক ৪.৩০ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। এতে আগুনে পুড়ে অন্তত ৪০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভুক্তভোগী মুদির দোকান মালিকেরা হলেন, মোঃ আবু তালেব, ফিরোজ ফার্মেসি, এমদাদুল হক ফল ভান্ডার, আক্কাস আলী ওষুধের ফার্মেসি, বাদশা ওহাব কম্পিউটারের দোকান, সালাম কম্পিউটার এন্ড টেলিকম, হাবিব স্টোর, দুলাল হোসেন ফার্নিচার, রাজু আহমেদ ফল ভান্ড, হাসিব মেহেদী স্টোর, আব্দুল জলিল মুদি স্টোর, আলাল পান স্টোর, সিরাজ উদ্দিন কফি হাউস, হারান ফার্মেসি, আবুল কালাম টিভি মেকার।
ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, আমরা প্রতি দিনের মত দোকান ঘর বন্ধ করে রাত্রি নয়টা থেকে ১০ টার সময় বাড়ি চলে যাই। ১৭/০৪/২৪ ইং ভোর সাড়ে চার টার দিকে ফোনে জানতে পারি আমাদের দোকান ঘরে আগুন লেগেছে। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে দ্রুত গতিতে ফায়ার সার্ভিসির দুইটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় , বুধবার ভোর আনুমানিক সাড়ে চারটার দিকে মুদি ব্যবসায়ী আবু তালেব এর ঘরে প্রথম আগুন লাগে এরপর একে একে ১৫ টি দোকান ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মুদি ব্যবসায়ী আবু তালেব হারান দুলাল হোসেন এই অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা যায়নি, সাধারণ মানুষের ধারণা বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন টির সূত্রপাত হতে পারে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন হাট গাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন।
মুদি ব্যবসায়ী আবু তালেব হারান দুলাল হোসেন বলেন, এই ব্যবসা ছাড়া আর কোন কিছু নাই আমি একেবারেই পথে বসে গেছি । আমরা মাননীয় এমপি মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ঘটনা স্থানটি পরিদর্শন করেন হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিক বৃন্দ।
বণিক সমিতির সভাপতি মোকসেদ হোসেন ও সদস্য বৃন্দ ও স্থানীয় ব্যবসায়ী গন ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছেন। যথাযথভাবে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি যাতে করে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীগণ সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ পায়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন, বাগমারা থানার ওসি অরবিন্দ সরকার।