1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
তালায় অপরিপক্ক আম বাজারজাতের অভিযোগে জরিমানা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের গণমিছিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি’র মু্ন্সীগঞ্জ জেলা শাখা কমিটির অনুমোদন কয়রায় বোরো চাষাবাদে বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি বুরুজবাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটি গঠনের তফসিল ঘোষনা মুন্সীগঞ্জে অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু পাইকগাছায় আধা কেজি গাঁজাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক প্রকাশিত সংবাদের ভিন্নমত ডুমুরিয়ার কানাই ডাঙ্গা স্লুইচ গেটের সামনে পলি পড়ে ভরাট, ইউএনও’র পরিদর্শন তালায় অবৈধভাবে ৬০ বছর যাবত দখলে রাখা ৩৩ বিঘা সরকারি জমির দখলমুক্ত

ডুমুরিয়ায় সূর্যমুখীর বাণিজ্যিক চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪
  • ৬৩ বার পঠিত
dumuriya-9419

ডুমুরিয়া (খুলনা) থেকে শেখ মাহাতাব হোসেন::

খুলনার ডুমুরিয়ায় ভোজ্যতেল সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। লাভজনক হওয়ায় বিগত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ জমিতে আবাদ করছেন এখানকার কৃষকরা। ২৫০ টাকা কেজির কোলেস্টরলমুক্ত ভোজ্যতেল বাণিজ্যিকভাবে সফল করেছে তাদের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর উপজেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। বীজ আকারে ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ টন। বাজারে সূর্যমুখী বীজের চাহিদা বাড়ায় কৃষকও আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সূর্যমুখী ফুল থেকে উৎপাদন হয়। এ তেল বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার আড়াইশ টাকা করে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় স্থানীয় চাষীরা সূর্যমুখী আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

খুলনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, প্রথম দিকে সূর্যমুখী পতিত জমিতে আবাদ হলেও পর্যায়ক্রমে তা আরও কয়েকটি উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ে। সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তেল ও খৈল হয়। ফুলের ক্ষেতে মৌচাক বসিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মধুও সংগ্রহ করা যায়।

কৃষিবিদরা বলছেন, সূর্যমুখী বীজ রোপণের ৯০-১০৫ দিনের মধ্যেই কৃষক ফুল থেকে বীজ ঘরে তুলতে পারেন। এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করে প্রায় ৭ মণ বীজ পাওয়া যায়। এ বীজ ১০-১২ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। কৃষি কর্মকর্তারা সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তৈরি তেল বাজারের অন্যান্য তেলের চেয়ে ভালো বলে দাবি করেছেন।

ডুমুরিয়া উপজেলার টিপনা গ্রামের খর্নিয়া ইউনিয়নের কৃষক শেখ মঞ্জুর রহমান জানান, উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিত পাল পরামর্শে তিনি কৃষি অফিস থেকে সার ও বীজ সংগ্রহ করে জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। এ বছর তিনি এক বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন।

উপজলার উপজেলা ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন জানান, অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ কম।

এতে সার-ওষুধও কম লাগে। তেমন পরিচর্যাও করতে হয় না। চাষ বৃদ্ধি পেলে এ বীজ আর বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না।

এ বছর কৃষি প্রণোদনার আওতায় সব উপজেলায় ১৭০ জন কৃষককে সূর্যমুখী বীজ এবং সার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলায় সূর্যমুখী চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২০ হেক্টর, যার শতভাগ অর্জিত হয়েছে।

এই ফুল দেখতে কিছুটা সূর্যের মত এবং সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এর এরূপ নামকরণ। এর বীজ হাঁস মুরগির খাদ্যরূপে ও তেলের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গত বছর খুলনায় জেলা ডুমুরিয়ায় ২৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছিল। দিন দিন সূর্যমুখী চাষ বাড়ছে। কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর