পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি::
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে স্কুল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাল্য বিবাহ বন্ধ হয়েছে। সোমবার (১৫এপ্রিল) দুপুরে পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের ঘোষাল গ্রামে অভিযান চালিয়ে স্কুল পড়ুয়া ওই কিশোরীর বিবাহ বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এসময় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মেয়ের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দিবেন না মর্মে মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়। পরে উপস্থিত সকলকে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করার সাথে সাথে বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটলে তাকে অবহিত করার অনুরোধ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন ।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহেরা নাজনীন বলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের ঘোষাল গ্রামের মোঃ জামিরুল গাজী তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে পার্শ্ববর্তী হরিঢালী ইউনিয়নের উত্তর সলুয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের সাথে আনুষ্ঠানিক বাল্য বিবাহের আয়োজন করা হয়। গোপন খবরের ভিত্তিতে ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে হাজির হয়ে বাল্য বিবাহটি বন্ধ করে দিই। পরে মেয়ের বাবাকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং তার কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয় প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তিনি তার মেয়ে বিয়ে দিবেন না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জুনায়েদুর রহমান, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক মোঃ আলতাফ হোসেন, পুলিশের এএসআই ওয়াজেদ আলী, কনস্টেবল জাহিদ হোসেন, আনসার সদস্য কামাল হোসেন, পেশকার ইব্রাহিম ও ইউপি সদস্য আবু হাসান সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।