আব্দুল মান্নান, (শার্শা) যশোর::

যশোরের শার্শা উপজেলার ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুরুজবাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে কয়েক লক্ষ টাকা অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে প্রকাশ গত ০৩ মে ২৩ তারিখে স্থানীয় পত্রিকায় একজন প্রধান শিক্ষক, একজন নিরাপত্ত কর্মী, একজন কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, একজন নিরাপত্তা কর্মী, একজন আয়া, একজন অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

প্রতিটি পদে নিয়োগ বোর্ডে অর্থবানিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করা হয়। প্রত্যেক পদের প্রার্থীকে ০৮ আগষ্ট ২৩ তারিখে বিদ্যালয়ের প্যাডে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রার্থীদের কে চুড়ান্ত নিয়োগ পত্র প্রদান করেন এবং ঐ সকল প্রার্থী যোগদানও করেন।

অন্যান্য সকল পদের প্রার্থীদের নিয়োগ দিলেও প্রধান শিক্ষকের অর্থ বানিজ্যের ঘাটতি হওয়ায় তাকে চুড়ান্ত নিয়োগ পত্র দিলেও
তাকে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ যোগদান করতে দেয়নি। উক্ত নিয়োগে জুলফিক্কার আলী অভিযোগ করে এ প্রতিনিধিকে একস্বাক্ষাতকারে জানান আমাকে নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক নিয়োগ প্রদান করে বিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিম স্বাক্ষরিত পত্রে আমাকে বিদ্যালয়ে যোগদান করার জন্য পত্র প্রদান করে বলেন গত ০৩ মে ২৩ তারিখের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আপনার আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ০৮ আগষ্ট ২৩ তারিখে বিজ্ঞ সিলেকশন কমিটির সুপারিশক্রমে অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং
কমিটির ০৭ আগষ্ট ২৩ তারিখের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আপনাকে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে সরকারী বেতন কাঠামো ২৯০০০/- বেতন স্কেলে নিয়োগ প্রদান করা হলো। আগামী ১৩ আগষ্ট ২৩ তারিখে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করার অনুরোধ করা হলো। অথচ চাহিদা মোতাবেক অর্থ দিতে না পারায় ম্যানেজিং কমিটি আমাকে যোগদান করতে দেয়নি। শুধু তাই নয় প্রধান শিক্ষক পদে পুনঃ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন গত ৫ ফেব্র“য়ারী ২০২৪ তারিখে। বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তড়িঘড়ি
করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য অর্থনৈতীক দেন দরবার চালিয়ে যাচ্ছে।

একাধিক অভিভাবক ও স্বচেতন মহল অভিযোগের শুরু বলেন ঐতিহ্যবাহি বুরুজবাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার শুষ্ট পরিবেশ নেই। প্রতি বছর ছাত্র ছাত্রী পার্শ্ববর্তি মাধ্যমিক বিদ্যালয়য়ে চলে যাচ্ছে।

গত ২০২৩ সালে অত্র বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী ছির ৯২০ জন বর্তমানে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কমে ৬৬৫ জন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান উন্নয়ন ও ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কিভাবে বৃদ্ধি পাবে তানা করে নিয়োগ বানিজ্যে বিভোর হয়ে উঠেছে। যা খুবি দুঃখ জনক ও লজ্জাষ্কর।