1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
তালায় অপরিপক্ক আম বাজারজাতের অভিযোগে জরিমানা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের গণমিছিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি’র মু্ন্সীগঞ্জ জেলা শাখা কমিটির অনুমোদন কয়রায় বোরো চাষাবাদে বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি বুরুজবাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটি গঠনের তফসিল ঘোষনা মুন্সীগঞ্জে অটোরিকশার ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু পাইকগাছায় আধা কেজি গাঁজাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক প্রকাশিত সংবাদের ভিন্নমত ডুমুরিয়ার কানাই ডাঙ্গা স্লুইচ গেটের সামনে পলি পড়ে ভরাট, ইউএনও’র পরিদর্শন তালায় অবৈধভাবে ৬০ বছর যাবত দখলে রাখা ৩৩ বিঘা সরকারি জমির দখলমুক্ত

অর্থাভাবে ব্যাহত হচ্ছে পাইকগাছার হাফেজিয়া মাদ্রাসা ছাত্রী শিশু মরিয়মের চিকিৎসা!

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ২৪ বার পঠিত

শেখ নাদীর শাহ্::

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালীর দরগামহল গ্রামের হাফেজিয়া মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্রী অগ্নিদগ্ধ শিশু মরিয়ম খাতুন বাঁচতে চায়। শীত নিবারনে মাদ্রাসায় সহপাঠীদের সাথে আগুন পোহানোর সময় আকষ্মিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এই কোরআনের পাখি। বর্তমানে তার সুষ্ঠু চিকিৎসা চালিয়ে নিতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তার চিকিৎসাভার বহনে অক্ষম পরিবার সকলের কাছে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন।

আপনার-আমার ন্যুনতম সহোযোগীতায় সুস্থ্যতার পাশাপাশি আবারো সুষ্ঠ জীবন ফিরে পেতে পারে কোরআনের হাফেজিয়ার ছাত্রী মরিয়ম। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের কাছে তার অসহায় পরিবারের করুণ আর্তি- তাদের মরিয়মকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।

মরিয়ম খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের দরগামহল গ্রামের হতদরিদ্র লিটন গাজী ও মমতাজ বেগম দম্পতির প্রথম সন্তান। দু’ভাই-বোনের মধ্যে মরিয়ম বড়। ছোটবেলা থেকে পিতা-মাতার স্বপ্ন ছিল একমাত্র মেয়েকে কোরআনের হাফেজ বানাবেন। স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারা মেয়েকে প্রায় ৬ মাস আগে ভর্তি করান সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জেঠুয়ার একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসায়। সেখানে অবস্থানকালীন প্রায় একমাস আগে শীতের সকালে মরিয়ম সহপাঠীদের সাথে রান্নার চুলার পাশে বসে আগুন পোহানোর সময় অসাবধানতায় আকষ্মিক শরীরের চাদরে ছিটকে পড়ে আগুন। মূহুর্তেই আগুন গোটা শরীর ও মাথা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এতে শরীরের সিংহভাগ আক্রান্ত হয়। তাৎক্ষণিক মাদ্রাসার শিক্ষক-সহপাঠীদের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরিবারের পাশাপাশি প্রতিবেশী আত্নীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর সহযোগীতায় চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করলেও বর্তমানে তার চিকিৎসা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রয়োজন জ্জ লাখ টাকা। যা বহন করা তার অসহায় পরিবারের পক্ষে মোটেও সম্ভব নয়।

এমন পরিস্থিতিতে টাকার অভাবে মরিয়মের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি তার পরিবারের। সেখানে প্রতিটা মূহুর্ত মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সে। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের দাবি, অপারেশন ও সার্জারী হলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে মরিয়ম। যার জন্য প্রয়োজন অন্তত ৩/৪ লাখ টাকা।

সন্তানের চিকিৎসা ব্যয়ভার বহনে ব্যর্থ পিতা-মাতা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তায় নির্বাক হয়ে পড়েছেন। তাদের আশঙ্কা, তবে কি অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যাবে ছোট্ট শিশুর চিকিৎসা? সে কি আর কখনো ফিরবেনা স্বাভাবিক জীবনে? এমন নানা দুশ্চিন্তায় বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন অসহায় মা মমতাজ বেগম।

সমাজের এমন কেউকি আছেন- যাদের সহযোগিতায় মরিয়ম আবারো ফিরে পেতে পারে সুষ্ঠু স্বাভাবিক জীবন? মরিয়মকে সহযোগীতা করতে তার অসহায় পিতা-মাতা তার মামা মাও: মো: শফিকুল ইসলামের ব্যবহৃত ০১৯১৬-৪২০২২৩ নম্বরের বিকাশ, নগদ ও রকেট নম্বরে সাহায্য কামনা করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর