নিজস্ব প্রতিবেদক, পাইকগাছা (খুলনা)::
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার আগড়ঘাটা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের আলোচিত ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন আস্ফালন করে বলেছেন তিনি নাকি “ডাক্তার কম শয়তান বেশি”। তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে তাকে শায়েস্তা করতে যেকোন পথ অবলম্বন করতে পারেন তিনি। গতকাল তার এসংক্রান্তে একটি অডিও ক্লিপস সাংবাদিকদের হাতে এসেছে।
তিনি বলেন কাউকে তোয়াক্কা করেন না তিনি। নিজ কর্মস্থল স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ইচ্ছে মত বেরিয়ে পড়লেও ছুটি নেওয়ার ব্যাপারে তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বলার প্রয়োজনও মনে করেননা। হাসপাতাল উপস্থিত না থাকার বিষয়ে বলেন, আমি জরুরি কাজে খুলনায় গিয়েছি, কারোর কাছে থেকে অনুমতি নেয়নি। ছুটি লিখে রেখে চলে গিয়েছি। ছুটি চাইলে ছুটি দিবে, না চাইলে বেতন কাটবে (উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা)। এতে আমার জায় আসেনা।
আগড়ঘাটা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন আয়া দিয়ে আগত রোগীদের চিকিৎসা ব্যাবস্থাপত্র, ঔষধ বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। এমন গুরতর সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে প্রতিবেদনকালে তিনি নিজেসহ অন্যান্যদের দিয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলে পড়ে। এসময় সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদের পকেটে রক্ষিত ৮০ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত মোবাইল কেড়ে নেয়। এসময় তারা তার ভিডিও ক্যামেরা ভাঙচুর করে। ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে উপরন্তু সাংবাদিকদের ৪জন সহ ৫ জনকে আসামী করে চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন ধারায় থানায় একটি মামলা করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক শেখ সেকেন্দার আলী বাদী হয়ে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-সি আর ১১৭/২৩ ।