1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:০২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি জীবন ঝুঁকিতে ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে ফুলেল শুভেচ্ছা ছাত্রদের বলাৎকার করে ফোনে ভিডিও ধারণের পর সংরক্ষণ করতেন শিক্ষক উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দাকোপে চেয়ারম্যান পদে ২ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার শার্শায় উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রেস ব্রিফিং সৈয়দপুরে ভারতে পাচারের জন্য রাখা বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার, গ্রেফতার-১ কেশবপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান ওসিসহ ৩জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ঘূর্ণিঝড় ‘রিমেল’মোকাবেলায় খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি ৩টি মুজিবকেল্লা আনন্দ গুপ্তার হুইল চেয়ার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা বৃদ্ধের পরিবার! এসএসসিতে সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অভাবনীয় সাফল্য

উখিয়া ক্যাম্পে ৪ মাঝিকে খুন করে ফেসবুক লাইভে রোহিঙ্গা যুবকের রোমহর্ষক বর্ণনা

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৫ বার পঠিত

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক মাসে চার মাঝিকে খুনের বিষয়ে ফেসবুক লাইভে এসে রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন মোহাম্মদ হাশিম (২০) নামে এক যুবক। তিনি নিজেকে ‘ইসলামী মাহাজ’ নামে একটি সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেছেন।

মোহাম্মদ হাশিমের ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি একটি অস্ত্র নিয়ে ভিডিওতে এসে চার মাঝির মধ্যে কাকে কীভাবে হত্যা করেছিল তার রোমহর্ষক বর্ণনা দিচ্ছেন।

মোহাম্মদ হাশিম লাইভে জানান, তার মতো ২৫ জন যুবককে অস্ত্র দিয়েছে ইসলামী সংগঠন মাহাজ। যাদের কাজ ছিল হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করা। যার জন্য আমাদের দেওয়া হতো মোটা অংকের টাকা। আমাদের মূল কাজ ছিল যারা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করে, তাদের হত্যা করা। সম্প্রতি ৫-৬ দিনের মধ্যে আমরা তিন মাঝিসহ এই স্বেচ্ছাসেবককে হত্যা করেছি।

লাইভে খুনের শিকার মাঝিদের নামও বলেছেন এই যুবক। তিনি বলেছেন, ১৮ নং ক্যাম্পের হেড মাঝি জাফর, ৭ নং ক্যাম্পের ইসমাঈল, কুতুপালং এক্সটেনশন ক্যাম্প-৪ এইচ ব্লকের এরশাদ ও হেড মাঝি আজিমুল্লাহকে হত্যা করেছেন।

একইভাবে লাইভে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ ইসলামী মাহাজ সংগঠনের চার মুখপাত্রের নামও বলেন মোহাম্মদ হাশিম। তারা হলেন- জিম্মাদার সাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভুইয়া, মৌলভী রফিক। এই চারজন এই সংগঠনের নেতৃত্ব দিতেন বলে জানান এই রোহিঙ্গা যুবক।

লাইভে মোহাম্মদ হাশিম আরও জানান, তাদের সামনে আরও বড় মিশন ছিল। কিন্তু সে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। তাই এই খারাপ জগৎ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান।

এদিকে মোহাম্মদ হাশিমের সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এই ভিডিও প্রচারের পর থেকে ক্যাম্পে মাঝিসহ নেতৃস্থানীয় রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

গোয়েন্দা সংস্থার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সলামী মাহাজ নামে সংগঠনটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সব রকমের অপকর্ম করে থাকে। তারা ক্যাম্পে বড় ধরনের নাশকতা করে। তাদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ভিডিওটা আমরা দেখেছি। এই যুবক যাদের নাম উল্লেখ করেছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় সব সময় প্রস্তুত। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারিও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর
9262