1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
পাইকগাছায় আধা কেজি গাঁজাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক প্রকাশিত সংবাদের ভিন্নমত ডুমুরিয়ার কানাই ডাঙ্গা স্লুইচ গেটের সামনে পলি পড়ে ভরাট, ইউএনও’র পরিদর্শন তালায় অবৈধভাবে ৬০ বছর যাবত দখলে রাখা ৩৩ বিঘা সরকারি জমির দখলমুক্ত কপিলমুনির ইউপি সদস্য ওজিয়ার সাতক্ষীরায় মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতার টঙ্গীবাড়ীর পাঁচগাঁও ও সিদ্ধেশ্বরী বাজারে নির্বাচনী গনসংযোগ করলেন আরিফুর রহমান হালদার আল্লাহর রহমত কামনা করে সৈয়দপুরে বিভিন্ন এলাকায় ইসতিসকার নামাজ আদায় সাতক্ষীরায় বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল চালক নিহত বৃষ্টির আশায় মু্ন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ‘ইসতিসকার নামাজ’ আদায় ঐতিহ্যবাহী খুলনার ১৪৩তম জন্মদিন আজ

তালায় স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী: শিক্ষক সুভাষ দাশকে অপসারণ ও শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪
  • ৮৩ বার পঠিত
Satkhira-photo-9519

আক্তারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা::


সাতক্ষীরার তালার-ফতেপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লম্পট সুভাষ কুমার দাশকে অপসারণ ও শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বিকেলে সাতক্ষীরার সাংবাদিক কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ওই শিক্ষার্থীর পিতা তালা উপজেলার ফতেপুর গ্রামের প্রদীপ দাশের ছেলে আকাশ দাশ। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইষ্টম কুমার দাশ।

সংবাদ সম্মেলনে ফতেপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী অদ্রিজা দাশের বাবা তার লিখিত বক্তব্যে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার মেয়ের শ্লীলতাহাহীর উপযুক্ত বিচার চাই। লম্পট শিক্ষক সুভাষ দাশকে বাঁচাতে তালা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সূর্য কুমার পাল ও ওই শিক্ষকের মেয়ে রমা রানি দাশসহ একটি কুচক্রীমহল মোটা অংকের টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। তারা মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। এমনকি বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে তারা একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি উদোরপিন্ডি বুধোরঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি তার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, আমার মেয়ে অদ্রিজা দাশ তালার-ফতেপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী। সে প্রতিদিনের ন্যায় গত ৭ মার্চ বেলা ১২ টার সময় স্কুলে যায়। ১৫ মিটির পর বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাষ কুমার দাশ তাকে স্কুলের অফিস কক্ষে ডেকে নেয়।

পরবর্তীতে আমার মেয়ে স্কুল শিক্ষার্থী অদ্রিজাকে দিয়ে তার শরীর ম্যাসেজ করতে বলে। সে তার শিক্ষকের শরীর টিপতে থাকলে হঠাৎ ওই শিক্ষকের যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। স্কুল ছুটির পর মেয়ে বাড়ীতে যেয়ে কান্নাকাটি করে বিষয়টি তার মাকে জানায়। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী ও সন্তানের কাছ থেকে জেনে গত ১১ মার্চ তালা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ইউএনও এবং থানা পুলিশের নিকট লিখিত অভিযোগ করি।

অভিযোগের ৩ দিন পর ১৫ মার্চ পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই লম্পট শিক্ষক সুভাষ দাশকে আটক করে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করে গত ১৬ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ড করে তাকে জেল হাজতে পাঠায়। এ ঘটনার পরপরি আসামী পক্ষ তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে এবং মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে।

পরবর্তীতে ওই লম্পট শিক্ষক সুভাষ দাশের স্ত্রী ছায়া রানি দাশ ও তার মেয়ে রমা রানি দাশসহ পরিবারের লোকজন তালা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সূর্য কুমার পাল বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে মোটা অংকের টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। তারা বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য সম্বলিত লিখিত বক্তব্য তৈরী করে ইতিমধ্যে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। সেখানে ফতেপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইষ্টম কুমার দাশ ও তার স্ত্রী অঞ্জলি রানীকে জড়িয়ে ওই শিক্ষকের মেয়ে রমা রানিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরীর দেওয়ার নামে যে টাকা পয়সা লেনদেনের কল্পকাহিনী তৈরী করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার মেয়েকে লম্পট শিক্ষক সুভাষ কুমার দাশ কর্তৃক যে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে তার সাথে এই ঘটনার কোন সম্পৃক্ততা নেই। বরং শিক্ষক সুভাষ কুমার দাশ ঘটনার সময় স্কুলে ছিলেন না, এমন কথা পুলিশকে বলার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইষ্টম কুমার দাশকে বিভিন্ন ভাবে ওই শিক্ষক ও তাদের সহযোগী শিক্ষক সমিতির নেতা ইসলামকাটি আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনাকূল হক এবং সভাপতি সূর্যপালসহ বিভিন্ন শিক্ষকদের দিয়ে চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু তিনি তাতে কর্ণপাত না করে শ্লীলতাহানীর ঘটনার দিন ওই লম্পট শিক্ষক ওই দিন স্কুল শুরু থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্কুলে উপস্থিত ছিলেন এমন প্রত্যায়ন পুলিশকে দিলে তখনি ঘটে বিপত্তি। তার পর থেকে শুরু হয় নানা সড়যন্ত্র।

এর অংশ হিসেবে লম্পট শিক্ষক সুভাষ কুমার দাশের মেয়েকে দিয়ে চাকুরীর দেওয়ার ঘুষ লেনদেনের নাকট মঞ্চস্থ করা হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। অসাধু ওই চক্রটি শুধু প্রধান শিক্ষক ইষ্টম কুমার দাশের বিরুদ্ধে সড়যন্ত্র করে থেমে থাকেনি। মেয়ের শ্লীলতাহানির ঘটনা ধামাচাপা দিতে আমি ও আমার বড় ভাই বিকাশ কুমার দাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মারপিটের কথা বলে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে হয়রানি করছে।

স্কুল ছাত্রীর পিতা আকাশ কুমার দাশ আরও জানান, ওই লম্পট শিক্ষক সুভাষ কুমার দাশ শুধু আমার মেয়েকে শ্লীলতাহানি করে ক্ষ্যান্তহয়নি। এর আগে তালা উপজেলার হাজরাকাটি গ্রামের মৃত গনেশ দাশের মেয়ে আত্র স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার শিক্ষাজীবন নষ্ট করেন। পরবর্তীতে ওই অভিভাবক বাধ্য হয়ে তার মেয়েকে অন্যতরে বিবাহ দিতে বাধ্য হন। ২০২৩ সালে ৫ম শ্রেীর ছাত্রী বৈশাখী ঘোষকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় জনসম্মূখে ছাত্রীর অভিভাবকের নিকট ক্ষমা চেয়ে সে যাত্রায় রেহায় পান। এছাড়া বিভিন্ন সময় স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাদের উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই লম্পট শিক্ষক শুধু স্কুলের ছাত্রী নয় তার নিজের ছেলের বউকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত ও যৌন হয়রানি করার কারনে বাধ্য হয়ে তার ছেলেকে তালাক দিয়ে চলে যান।

বর্তমানে এই শিক্ষকের কারনে স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তাকে অবিলম্বে অত্র বিদ্যালয় থেকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর