1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
পাইকগাছায় আধা কেজি গাঁজাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক প্রকাশিত সংবাদের ভিন্নমত ডুমুরিয়ার কানাই ডাঙ্গা স্লুইচ গেটের সামনে পলি পড়ে ভরাট, ইউএনও’র পরিদর্শন তালায় অবৈধভাবে ৬০ বছর যাবত দখলে রাখা ৩৩ বিঘা সরকারি জমির দখলমুক্ত কপিলমুনির ইউপি সদস্য ওজিয়ার সাতক্ষীরায় মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতার টঙ্গীবাড়ীর পাঁচগাঁও ও সিদ্ধেশ্বরী বাজারে নির্বাচনী গনসংযোগ করলেন আরিফুর রহমান হালদার আল্লাহর রহমত কামনা করে সৈয়দপুরে বিভিন্ন এলাকায় ইসতিসকার নামাজ আদায় সাতক্ষীরায় বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল চালক নিহত বৃষ্টির আশায় মু্ন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ‘ইসতিসকার নামাজ’ আদায় ঐতিহ্যবাহী খুলনার ১৪৩তম জন্মদিন আজ

পাইকগাছার কপিলমুনিতে ভিপি সম্পত্তির দখল ঠেকাতে ভাড়াটিয়াকে বের করে দিল কথিত মালিক আজিজ

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩
  • ৫০ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক::

পাইকগাছার কপিলমুনিতে তঞ্চকতাপূর্ণ দলিলে ভিপি সম্পত্তির দখল ঠেকাতে বিনা নোটিশে ভাড়াটিয়াকে মালামালসহ বের করে দিয়েছেন কথিত বাড়ি মালিক আব্দুল আজিজ গাজী। ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হয়েছে।

অভিযোগে জানানো হয়, পাইকগাছার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগর মৌজার সিএস ৫৩৩ খতিয়ানের ৭৮১ ও ৭৮২ দাগের যা এসএ ৫৮৯ খতিয়ানের ৫৮১ ও ৫৮২ দাগের ০.৩১ ও ০.৭৫ মোট ১.০৬ একর জমির মধ্যে সর্বশেষ বিআরএস জরিপে ০.৭৩ একর সম্পত্তি ১নং খাস খতিয়ানের ভিপি শ্রেনিভুক্ত হয়ে চুড়ান্ত গেজেট পাশাপাশি বিভিন্ন বুনিয়াদে একই সম্পত্তি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড প্রস্তত হয়ে চুড়ান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়। একই সম্পত্তি সরকারি ভিপি তালিকাভুক্তির পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড সম্পাদনের সাংঘর্ষিক ঘটনায় নানাবিধ জটিলতা তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, উক্ত সিএস খতিযানে মালঞ্চ বিবির নামে ২ আনা সম্পত্তির রেকর্ড থাকে যা, দীর্ঘ দিন খাজনা বাকি থাকায় মালেক নলিনী কান্ত বসুর বাকি খাজনার মোকদ্দমায় ডিক্রী প্রাপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে নিলাম উঠালে তা স্থানীয় গয়েরাতুল্লাহ সরদার, আ: জব্বার মোড়ল, এজাহার আলী শেখ ও মুজিবর মোড়ল উক্ত নিলাম খরিদ করেন। অত:পর তারা পুনরায় ঐ জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার ঘোষণা দিলে গত ৯/৭/১৯৪৫ তারিখে ১৩৫২ নং কবুলতি মূলে কাশিমনগর গ্রামের জহির উদ্দিন বেহারা ও তার ভাগ্নে তকিম বেহারা বন্দোবস্ত নেন। এরপর জহির উদ্দিন বেহারার মৃত্যুতে তার দু’পুত্র যথাক্রমে শওকত আরী সরদার, দুয়ে সরদার ও এক কন্যা সাবিলা বিবি ওয়ারেশ থাকেন। এরপর দুয়ে সরদার তার পিতার সমুদয় সম্পত্তির দাবি করে ৫৩৩ খতিয়ানের মধ্য থেকে ০.৩৩ একর জমি দাবি করে কবুলতি অন্যতম গ্রহিতা ও নিলাম প্রাপ্ত গয়েরাতুল্লাহ সরদারের ছেলে আব্দুর রশিদ সরদার দিংদের বিরুদ্ধে খুলনা ৩য় মুনসেফ আদালতে স্বত্ত্বপ্রচার মামলা দায়ের করেন। যার নং-২১/৭৮। যার প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষ সোলে বুনিয়াদে ২৮/৩/৮০ তারিখে ৩৩ নং আদেশ অনুসারে ডিক্রিপ্রাপ্ত হন। মামলার অন্যতম বিবাদী থাকেন রেকর্ডীয় অন্যতম প্রজা ভগবান বিশ্বাসের ভাই ললিত মোহন বিশ্বাস। এরপর এসএ এ্যাক্টের ৫৪ ধারার বিধান মতে ৫৮৯ খতিয়াােনর ৭৮১ দাগে ০.২৩ একর জমি কর্তনপূর্বক এসএ ৫৮৮ খতিয়ানে সম্পৃক্ত করা হয়। এছাড়া খতিয়ানের ৭৮২ দাগের ০.২৫ একর জমি কর্তনপূর্বক মামলার ১৭ নং বিবাদী ললিত মোহন বিশ্বাসের নামে ০.৭৫ একর জমি বাবদ এসএ ৫৮৯ খতিয়ানে সংশোধন করা হয়। অনুরুপ ঐ ডিক্রী বুনিয়াদে শওকত আলী সরদার দিগের এসএ এ্যাক্টেও ১৪৩ ও ১১৭ ধারার বিধান মতে মিস ৪৮১ (৯-১)/৮৪-৮৫ নং নামপত্তন ও জমা খারিজ কেসে এসএ ৭৮১ দাগের মধ্য থেকে ০.১৬ একর জমি কর্তন করত শওকত আলী সরদার দিংদের নামে এসএ ৫৮৮/১ নং পৃথক খতিয়ান খোলা হয়।

উল্লেখ থাকে যে, রেকর্ডীয় প্রজা ভগবান সরদারের নামিয় জমা কাউকে হস্তান্তর না করে সন্তান-সন্ততি নিয়ে দেশত্যাগ করলে পরবর্তীতে তার তিন ভ্রাতার মধ্যে ললিত মোহন বিশ্বাস তার অপর দু’ভ্রাতা ভজহরী ও অনিল বিশ্বাসকে ফাঁকি দিতে ভগবান বিশ্বাসের কাছ থেকে একটি জাল-তঞ্চকি দলিল মুলে তার নামীয় সমুদয় সম্পত্তির ডিড নেন। পরবর্তীতে শওকত আলী সরদারের স্বত্ত্বপ্রচার মামলায় নিজে ১৭ নং বিবাদী হিসেবে সোলেমূলে আদালতের রায় ডিক্রী বুনিযাদে নিজ নামে রেকর্ড নেন। মূলত ভগবান বিশ্বাসের জমি পরবর্তীতে ভিপি শ্রেনিভুক্ত হয়ে রেকর্ড সম্পাদন হয়। প্রকৃত পক্ষে মামলায় সোলে-সুরত মূলে ভগবানের জমির তঞ্চকি দলিল নিয়ে ললিত মোহন রেকর্ড নিয়ে ভিন্ন খতিয়ানে নিজ নাম সম্পৃক্ত করেন। মূলত ভগবান বিশ্বাস সিএস ৫৩৩ খতিয়ানের ৭৮১ ও ৭৮২ উভয় দাগের স্বত্ত্ববান ছিলেন। সেমতে ভগবানের প্রাপ্ত মূল খতিয়ানের সমুদয় ০.৭৩ একর জমি ভিপি শ্রেণিভুক্ত হয়।

সর্বশেষ এসএ ৭৮১ দাগের বর্তমানে বিআরএস ৪৭০ খতিয়ানের ১১৩০ দাগে ০.০৮ একর জমি ললিত মোহন বিশ্বাসের মেয়ে রীতা রানী শওকত সরদারের স্ত্রী মাদারী বিবির নিকট থেকে খরিদাসূত্রে রেকর্ডপ্রাপ্ত হন। মাদারী বিবি গত ২/১০/৮১ তারিখে ৮২৩৩ নং ডিডমুলে এনায়েত সরদারের কাছ থেকে এবং ১০/০৬/৮৫ তারিখে ৪৫৩৭ ও ৪৫৩৮ নং কোবলা মূলে মাদারী রীতাকে বিক্রি করেন। পরে ৭/৮/০৩ সালে রীতা রানী ৪৪৫৫/২০০৩ নং দলিল মূলে তালা উপজেলার মাছিয়াড়া গ্রামের মৃত হানেফ গাজীর ছেলে আব্দুল আজিজ গাজীর নিকট হস্তান্তর করেন। তবে ঐ দলিলে খতিয়ানের ৪৭০ এর স্থলে ৫৭০ লেখা হয়। প্রকৃত পক্ষে ৫৭০ খতিয়ানে ১১৩০ দাগের মূলত মালিক বনমালী মন্ডলের ছেলে নটোবর মন্ডল। আব্দুল আজিজের দলিল তঞ্চকতা হলে দাতা রিতা রানী বিশ্বাসের জমি নিজনামে বহাল থাকে।

এদিকে রিতা রানী বিশ্বাস আব্দুল আজিজের কাছে জমি হস্তান্তরের পর স্বামী-সন্তানসহ ভারতে পাড়ি জমান এবং পরবর্তীতে সেখানে মৃত্যুবরণ করেন। সেক্ষেত্রে এদেশে তার প্রকৃত ওয়ারেশ থাকেন রীতার আপন কাকাতো ভাই অনীল বিশ্বাসের ছেলে দেবব্রত বিশ্বাস ও সুব্রত বিশ্বাস এরপর সুব্রত’র মৃত্যুর পর তার একমাত্র ছেলে অমিত বিশ্বাস ও ভজহরীর ছেলে উত্তম বিশ্বাস।

এছাড়া উক্ত ওয়ারেশসূত্রে তারা ভগবানের জমি দাবি করে খুলনা জেলা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে একটি রেকর্ড সংশোধন মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১৭২৫/২০১৮। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বুনিযাদে বিআরএস রেকর্ড প্রাপ্তরা ভিপি খতিয়ান থেকে শ্রেণি পরিবর্তনে আরো একটি মামলা করেন। মামলাগুলি বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

সর্বশেষ গত শনিবার কথিত ভ্রমাত্নক দলিলের মালিক আব্দুল আজিজ ভিপি সম্পত্তির দখল হারানোর ভয়ে ঐ বাড়ির ভাড়াটিয়া স্থানীয় মৃত শফিউর রহমান মোড়লের ছেলে গোলাম মোস্তফাকে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই আসবাবপত্র ও মালামালসহ এক প্রকার টেনে-হেঁছড়ে বাড়ির বাইরে বের করে দিয়েছে। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে নরুপায় ােস্তফা বর্তমানে খোলা আকাশের নীচে অবস্থান করছেন।

এব্যাপারে আব্দুল আজিজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর