1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
অপারেশনের নামে নিজেই রোগীদের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়িতে অজ্ঞাত কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক দক্ষ ও যুগোপযোগী করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী খুলনাসহ ৮ বিভাগে কালবৈশাখী ঝড়ের সতর্কতা জারি খুলনায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা ডুমুরিয়ায় উচচ ফলনশীল পাট বীজ উৎপাদন, পাট চাষ ও পাট পচনের আধুনিক প্রদ্ধতির ক্রমোন্নয়নে কর্মশালা তালায় ১১৫ শিক্ষার্থীর মাঝে অর্থ বিতরণ মুন্সীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’র বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, গৃহশিক্ষকসহ আটক ২

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২১ বার পঠিত

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় তাসমিয়া হোসেন অদিতি (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হাতের রগ কেটে ও জবাই করে হত্যার ঘটনায় গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনি (২৫) ও তার সহযোগী মো: সাঈদ (২০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। রহিম নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে ও মো: সাঈদ (২০) একই এলাকার অজি উল্যার ছেলে।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পুরো ঘর ওলট-পালট করা হয়েছে। তিনি বলেন, টিউশনি থেকে বাদ দেওয়ায় ক্ষোভে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করেন গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনি (২৫)। রনি বিবাহিত এবং একটি কোচিং সেন্টারের মালিক। তিনি এক বছর ধরে ওই ছাত্রীকে পড়াতেন। তিন মাস আগে তাকে টিউশনি থেকে বাদ দেওয়া হলেও পূর্বের পরিচিত হওয়ায় রনি মাঝেমধ্যে বাসায় আসতেন।

জানাযায়, বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুর এলাকায় ওই শিক্ষার্থীর নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে।এসময় ঘরের বিভিন্ন মালামাল তছনছ করেছে অপরাধীরা।

নিহত ওই স্কুল ছাত্রী স্থানীয় নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো এবং নোয়াখালী পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুর মহল্লার মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে। তার মা স্থানীয় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।

নোয়াখালীল পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম বলেন, ভিকটিমরা দুই বোন। নিহত অদিতির বড় বোন প্রতিবন্ধী এবং ভিকটিম ছোট বোন। নিহতের মা রাজিয়া সুলতানা উপজেলার জয়নাল আবেদীন মেমোরিয়াল একাডেমির শিক্ষিকা। ভিকটিমের মা সকাল ৭টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে চলে যায় এবং সন্ধ্যা অনুমান ৭টার দিকে বাসায় এসে দেখে বাহির থেকে দরজায় তালা লাগানো। পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়াগণও প্রতিদিনের ন্যায় দরজা বন্ধ থাকায় তারাও কিছু অনুমান করতে পারেনি। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা দরাজা খুলে ভিকটিমের রুম বন্ধ পাওয়ায় ভিকটিমকে খোঁজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভিকটিমের মা বাসার পেছনের দিকে জানালা দিয়ে দেখে তার মেয়ে গলাকাটা রক্তাক্ত ও উলঙ্গ অবস্থায় অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে।

তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ভিকটিমের মা তার মেয়েকে রক্তাক্ত নিথর দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, প্রতিবেশী নয়নের ছেলে মো. সাঈদ (২০) প্রায় সময় তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। অনেক সময় হুমকিও দিয়েছিলো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর