খুলনায় নর্দান ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র প্রমিজ নাগ (২২) আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় তার প্রেমিকা সুরাইয়া ইসলাম ওরফে মিমকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬ স্পেশাল কোম্পানির একটি আভিযানিক দল। শুক্রবার (২৪ জুন) নড়াইল জেলার মাসুমদিয়া এলাকার এক নিকটাত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে নড়াইল জেলার কালিপুর উপজেলার বাবুপুর গ্রামের মোঃ আবুল কালাম আজাদের মেয়ে।
এর আগে শুক্রবার (২৪ জুন) রাতেই তাকে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হরসিৎ মন্ডল মিমের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রেমিক প্রমিজ নাগের আত্মহত্যার খবরে মিম প্রথমে নড়াইলে নিজ বাড়িতে পালিয়ে যায়। এর পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আত্মহত্যার খবরটি ব্যাপকভাবে প্রচার হলে বাড়ি থেকে সে মাসুমদিয়া এলাকায় এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করে।
এদিকে ওই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার বিষয়টি আলোচনায় আসলে র্যাব ৬ (খুলনা) এর একটি টিম পুলিশের পাশাপাশি পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে, গত ২২ জুন বিকেলে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ গোবরচাকা মেইন রোডের আব্দুস সালাম হাওলাদারের ৬ষ্ঠ তলা ভবনের ৪র্থ তলা থেকে প্রমিজ নাগ নামের ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পর দিন বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাতে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় দ-বিধির ৩০৬ ধারায় প্রমিজ নাগের কাকাতো ভাই প্রীতিশ কুমার নাগ (৪৪) বাদী হয়ে ভাইয়ের প্রেমিকা মিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করা হয়, নর্দান ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশুনার সুবাদে তাদের দু’জনের মধ্যে প্রমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সুরাইয়া ইসলাম মিম মাঝে মধ্যে প্রমিজের বাসায় যাওয়া-আসা করতো। কিছুদিন ধরে সে প্রমিজকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। আসামী সুরাইয়া ইসলাম ধর্মাবলম্বী হওয়ায় প্রমিজ তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এসব কারনে তাদের ভিতরে ঝগড়া চলছিল বলেও উল্লেখ করা হয় এজাহারে।
সর্বশেষ ওই মামলায় নড়াইলের মাসুমদিয়া এলাকার এক নিকটাত্মীয়ের বাড়ি থেকে প্রেমিকা মিমকে গ্রেফতার করে র্যাব-৬।