1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
নলছিটির সুগন্ধা নদীতে নিখোঁজ আদিত্য’র খোঁজ মেলেনি ৭ দিনেও জলবায়ু খাতে আর্থিক বিনিয়োগের দাবিতে সাতক্ষীরায় তরুণদের ধর্মঘট ও মানববন্ধন পাইকগাছায় লবণ পানি উত্তোলন বন্ধের দাবিতে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের আব্দুল গফুরের শরীরে বাসা বেঁধেছে জটিল রোগ সাহায্য কামনা কয়রায় প্রানিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত চলে গেলেন সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা সিন্দাইনী আশাশুনিতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রাজ’র মনোনয়ন সংগ্রহের অর্থ জমা মুন্সীগঞ্জে মাই টিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত টাঙ্গাইলের ভুঞাপু‌রে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটলেন স্ত্রী কয়রার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন

খুলনা শিপইয়ার্ডে দেশের সর্ববৃহৎ ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাংকের কিল লেয়িং

  • প্রকাশিত : বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২
  • ১৭ বার পঠিত
খুলনা প্রতিনিধি:


খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য তিনটি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাংক (এলসিটি) নির্মাণ করবে। এগুলো হবে এযাবৎকালে দেশে নির্মিত সর্ববৃহৎ এলসিটি। বুধবার (১৫ জুন) সকালে খুলনা শিপইয়ার্ড চত্বরে এসকল এলসিটি নির্মাণের কিল লেয়িং অনুষ্ঠিত হয়। 
খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম সামছুল আজীজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কিল লেয়িং অনুষ্ঠানে প্রধান  অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,খুলনা নৌঅঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য খুলনা শিপইয়ার্ড কর্তৃক জাহাজ নির্মাণ এটাই প্রথম নয়। আগেও এ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য ৫টি প্যাট্রোল ক্র্যাফট, ২টি লার্জ প্যাট্রোল ক্র্যাফট, ২টি টাগ বোট এবং ৬টি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ইউটিলিটি সফলভাবে নির্মাণ করে হস্তান্তর করেছে। আর এখন সর্ববৃহৎ দৈর্ঘ্যরে এলসিটি নির্মাণ করছে। এগুলো খুলনা শিপইয়ার্ডের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতার প্রমাণ। কেবল নৌবাহিনীর জন্য নয়, বরং কোস্টগার্ড, মোংলা বন্দর, পায়রা বন্দর, মৎস্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য আন্তর্জাতিকমানের জাহাজ নির্মাণ করে শিপইয়ার্ড দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
খুলনা শিপইয়ার্ড জাহাজ নির্মাণ করে অচিরেই বিদেশে রপ্তানিতে সক্ষম হবে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী সিদ্ধান্তে ১৯৯৯ সালে খুলনা শিপইয়ার্ডকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। মৃতপ্রায় এ প্রতিষ্ঠান বর্তমানে তার হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করেছে এবং লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সঠিক নেতৃত্ব, কর্মনিষ্ঠা ও সততা যে একটি প্রতিষ্ঠানকে সফলতার অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে তার সফল উদাহরণ এই খুলনা শিপইয়ার্ড।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নির্মিতব্য ৩টি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাংক (এলসিটি) এদেশের সর্ব বৃহৎ দৈর্ঘ্যরে (৭০ মিটার) এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাংক যাতে অত্যাধুনিক মেশিনারী এবং যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হবে। জাহাজ ৩টি আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা এবং দেশের অভ্যন্তরের নদীসমুহে অপারেশন সক্ষম। প্রতিটি জাহাজ একই সাথে ৬টি মাঝারি মানের ট্যাংক পরিবহন করা যাবে।
এছাড়াও ৬টি মাঝারি মানের ট্যাঙ্কের পরিবর্তে প্রতিটি জাহাজ ৫টি মিডিয়াম অ্যটিল্যারি গান ভেহিকেল অথবা ১২টি এপিসি অথবা ১৮টি মিলিটারি ট্রাক পরিবহনে সক্ষম। এলসিটিমূহের প্রাথমিক কাজ হবে যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের উভচর অভিযান পরিচালনা এবং ট্যাংক, এপিসিসহ সার্পোট ইউনিট ও ল্যান্ডিং ফোর্স পরিবহন করা। তাছাড়া শান্তিকালীন সময় এলসিটি এর মিশন হবে লজিস্টিক শিপ এর ভূমিকা পালনের পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর ও এর তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় মানবিক সহায়তা প্রদান এবং ত্রাণসামগ্রী ও কর্মী পরিবহন করা। দেশে নির্মিত প্রথম ল্যান্ডিং ক্র্যাফট হিসেবে এটা দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। জাহাজ ৩টি আন্তর্জাতিক ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি লয়েডস রেজিস্ট্রার (ইংল্যান্ড) এর নীতিমালা অনুসরণ করে নির্মিত হবে।
কিল লেয়িং অনুষ্ঠানে খুলনা শিপইয়ার্ড এর উর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর