1. sheikhnadir81@gmail.com : admin :
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ১১:০২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা কেশবপুরে মফিজুর রহমান চেয়ারম্যান, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রাবেয়া খাতুন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ৪ দিনের প্রশিক্ষণ শুরু কয়রায় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতনতায় শুভ সংঘের আলোচনা সভা ১২ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চলছে টানা ৫ম দিনের আন্দোলন বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত চট্টগ্রামে কয়রায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত  জোট গড়তে যাচ্ছে ইরান-উত্তর কোরিয়া সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকতা কর্মচারীদের কর্মবিরতি চলছেই ট্রাম্পের সঙ্গে ‘সেক্স’ করেছিলেন পর্ণ তারকা স্টর্মি

রাত পোহালেই শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবস, জাতির বরেণ্য সন্তানদের হারানোর দিন

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৪১ বার পঠিত

১৪ ডিসেম্বর, দেশে সর্বোচ্চসংখ্যক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাত পোহালেই বুধবার, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দিবসটিকে সামনে রেখে রায়েরবাজার শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শেষ সময়ে চলছে ধুয়েমুছে পরিষ্কার করার কাজ। দিনটিকে সামনে রেখে স্মৃতিসৌধের ভেতর-বাইরে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হচ্ছে। সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, মূল দুটি ফটক বন্ধ রেখে স্মৃতিসৌধ পরিষ্কারের পাশাপাশি মেরামত ও সংস্কারের কাজও চলছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে।

রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক রিপন জানান, পুরো এলাকার নিরাপত্তার জন্য ৬৪টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আলোকসজ্জার জন্য অন্য বছরের তুলনায় এ বছর লাইট বসানো হয়েছে আরও বেশি।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ মুহূর্তে পাক বাহিনী তাদের পরাজয় অনিবার্য জেনে তালিকা করে তারা জাতির বরেণ্য সন্তানদের হত্যার জন্য তাদের এ দেশীয় দোসর ঘাতক বাহিনী আলবদর-আলশামসকে লেলিয়ে দেয়। পরাজয়ের আগমুহূর্তে তারা চূড়ান্ত আঘাত হানে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার অভিপ্রায়ে। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহর থেকে বিজয়ের আগমুহূর্ত পর্যন্ত যেসব বরেণ্য বুদ্ধিজীবীকে আমরা হারিয়েছি, তাদের মধ্যে আছেন অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, মুনীর চৌধুরী, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, রাশীদুল হাসান, ড. আবুল খায়ের, ড. আনোয়ার পাশা, সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, আলতাফ মাহমুদ, নিজামুদ্দীন আহমদ, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম চৌধুরী, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, সেলিনা পারভীন প্রমুখ।

যৌথবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাত্র দুদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর সর্বোচ্চসংখ্যক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। সেই রাতে ২০০ বুদ্ধিজীবীকে ঢাকায় একত্র করে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন সেলে। পরে রায়েরবাজারে নিয়ে হত্যা করা হয়। তাদের স্মরণে ১৪ ডিসেম্বর পালন করা হয় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস।

পাকিস্তানি দুঃশাসনের দিনগুলোয় আমাদের লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীরা বিবেকের কণ্ঠস্বর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। নিজেদের জ্ঞান-মনীষা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে জাতিকে পথ দেখিয়েছেন, আলোকিত করেছেন। এসব কারণেই তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের জিঘাংসার শিকার হয়েছেন। এত কম সময়ে এত বেশিসংখ্যক বুদ্ধিজীবী নিধন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছাড়া আর কখনো বিশ্বের কোন দেশে ঘটেনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

একই বিভাগের সকল খবর